লাইফস্টাইল ডেস্কঃ কর্মব্যস্ত জীবনে এখন ঈদের কেনাকাটায় কমবেশি সবাই অনলাইনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এতে সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচে। তাই বর্তমানে অনলাইন বিজনেসও ফুলে ফেঁপে উঠেছে। কিন্তু অনলাইনের অভিজ্ঞতা সবার ক্ষেত্রে সমান নয়, কারও কারও ঠকে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতাও হয়েছে।
তাই অনলাইনে কেনাকাটার সময় কিছু বিষয় মাথায় রেখে সতর্ক হওয়া জরুরি। তাহলে এড়াতে পারবেন প্রতারণা। কোনটি বিশ্বাসযোগ্য আর কোনটি নয় সেটা বুঝতে হলে আপনাকে কিছু বিষয়ে নজর রাখতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক করণীয়ঃ
ওয়েবসাইট দেখে নিন- আপনি যে ওয়েবসাইট বা পেইজ থেকে পণ্য কিনবেন, সেটি ভালো করে যাচাই করে নিন। অনেক ওয়েবসাইটে প্রবেশের জন্য নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়, এর ফলে আপনার বিভিন্ন তথ্য ওই ওয়েবসাইটে চলে যায়। তাই যে কোনো ওয়েবসাইটে আগেই অ্যাকাউন্ট খুলবেন না। প্রচারক চক্ররা এখন বিখ্যাত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন ওয়েবসাইটের সবকিছু নকল করে থাকে। বানান বা ডিজাইনে সামান্য পরিবর্তন এনে এসব ফেক সাইট খোলা হয়।
তাই যে কোনো শপিং সাইটে ব্যক্তিগত বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য প্রবেশ করানোর আগে দেখে নিন পৃষ্ঠার ওয়েব ঠিকানা ‘https:’ দিয়ে শুরু হচ্ছে নাকি ‘http:’। যদি প্রথমটি হয় তাহলে বুঝবেন সেটি সুরক্ষিত নয়।
রিভিউ এবং ঠিকানা- অনলাইনে কোনো পণ্য কেনার আগে ওই কোম্পানি বা পেইজের সুনাম কেমন তা যাচাই করে নিন।। এক্ষেত্রে আপনি রিভিউ দেখতে পারেন। যদি সব রিভিউগুলোই ইতিবাচক হয়, তাহলে সেখান থেকে ক্রয় করতে পারেন। কোথাও অফার বা ডিসকাউন্ট দেখলে সেখান থেকে পণ্য ক্রয় করবেন না। কারণ অফারের পণ্যগুলোর মান ততটা ভালো হয়। এক্ষেত্রে নকল পণ্য হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
পণ্য যাচাই-বাছাই- অনলাইনে পণ্য কেনার আগে সব বিষয় যাচাই করুন। বিশেষ করে পোশাক কেনার ক্ষেত্রে রং, কাপড়ের কোয়ালিট, সাইজ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে তবেই অর্ডার করুন। এতে পণ্য পাওয়ার পর আর আফসোস করতে হবে না। অনেক সময় ছবির সঙ্গে বাস্তবের পণ্যের মিল থাকে না, এজন্য থেকেই বিক্রেতার কাছ থেকে ওই পণ্যের আসল ছবি দেখে নিন।
অগ্রিম পেমেন্টের ক্ষেত্রে সতর্কতা- যেসব ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজ ক্রেতার কাছ থেকে অগ্রিম টাকা আবদার করেন, সেখান থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। যদি ক্যাশ অন হোম ডেলিভারি নিতে পারেন সবচেয়ে ভালো হয়। এতে করে আপনি পণ্য দেখে শুনে সব ঠিক থাকলে তবেই টাকা ডেলিভারি ম্যানের হাতে ধরিয়ে দিতে পারবেন।
মনে রাখবেন, অনলাইনে বা ফেসবুকে লোভনীয় বিভিন্ন অফারের কোনো পপআপ, ই-মেইলে পাওয়া কোনো ফিশিং লিংকে ক্লিক করা কিংবা পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা না করাই ভালো। এতে হ্যাকাররা সহজেই আপনার ফোন হ্যাক করে বিভিন্ন তথ্যাদি চুরি করতে পারবে।