আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব ইসলামাবাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান। তবে এতো চাপের পরেও সরকার নতি স্বীকার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে ইরানের প্রেস টিভির খবরে বলা হয়, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে কয়েকটি আরব রাষ্ট্র পাকিস্তানের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করায় ইসলামাবাদ ভিন্ন পথে হাঁটার চিন্তা করছে।
প্রেস টিভির ইসলামাবাদ প্রতিনিধি জানান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়ানো হয়েছে। এই চাপের অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানের নাগরিকদের শ্রম ও ভ্রমণ ভিসা ইস্যু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সরকার ইসরাইল এবং ভারতঘেঁষা নীতি গ্রহণ করে ইসলামাবাদকে সতর্ক বার্তা দিতে চাইছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের অন্তত ৫০ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করে আরব আমিরাত ও সৌদি আররে। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস এই আরব রাষ্ট্রগুলো। যদি আরবদের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্ক নষ্ট হয় তাহলে অর্থনৈতিকভবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইসলামাবাদ।
এদিকে এ অবস্থায় ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের সামনে দুটি পথ রয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়া অথবা আরব রাষ্ট্রগুলোর শাস্তির মুখে পড়া।
তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে, ইরান, তুরস্ক, কাতার ও চীনের সমন্বয়ে যে জোট গড়ে উঠতে যাচ্ছে তাতে যুক্ত হতে চলেছে পাকিস্তান। এর বিপরীতে থাকবে আমেরিকা, ইসরাইল, ভারত ও কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের জোট।