কাতারের মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার ইসরায়েলের অফিস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। রবিবার এই ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, সরকার সর্বসম্মতভাবে আল-জাজিরা অফিস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রিসভার সদস্যরা সবাই আল-জাজিরার অফিস বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন। ইসরায়েলে আল-জাজিরার অফিস পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে না এই পদক্ষেপ সাময়িক, সে বিষয়ে অবশ্য এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আরব দুনিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে আল-জাজিরার অফিস ফের চালু করার অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
সামাজিক যোগাযগ মাধ্যম এক্স-এ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমার নেতৃত্বাধীন সরকার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ক্রমাগত উস্কানি ও প্ররোচনা দিয়ে চলা সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার ইসরায়েলের অফিস বন্ধ করে দেওয়া হবে। মন্ত্রী শ্লোমো কারহিকে ধন্যবাদ।’
ইসরায়েলের যোগাযোগ মন্ত্রী কারহি জানিয়েছেন, ‘ইসরায়েলে আল-জাজিরা অফিস বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হচ্ছে। অনেক বেশি সময় কেটে গিয়েছে। আল-জাজিরার প্ররোচনামূলক প্রচার বন্ধ করার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অনেক আইনি বাধা ছিল। শেষপর্যন্ত আল-জাজিরার উস্কানি বন্ধ করা সম্ভব হল। আমাদের দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছিল আল-জাজিরা। ওরা যাতে আর ইসরায়েল থেকে কাজ করতে না পারে, তার জন্য আমি গত কয়েক মাসে যা করা সম্ভব সব করেছি। ইসরায়েলে আল-জাজিরার অফিসে যে সমস্ত জিনিসপত্র আছে, সেসব বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, আল-জাজিরা শুরু থেকেই প্যালেস্টাইনের পক্ষে সংবাদ প্রচার করে আসছে। ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে বলেও দাবি করেছে আল-জাজিরা। এই কারণেই কড়া ব্যবস্থা নিল ইসরায়েল সরকার।