ইসরায়েলের সরকারের সঙ্গে গুগলের ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তির বিরোধিতা করায় গুগলের আরও ২০ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এ নিয়ে সব মিলিয়ে ৫০ জন কর্মী এ কারণে চাকরি হারিয়েছেন। খবর সিএনএন
নো টেক ফর দ্য অ্যাপার্থাইড’ শীর্ষক এই গোষ্ঠীর প্রতিবাদকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের অনেকেই প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেননি, বরং তারা পাশে দাঁড়িয়ে এই সমাবেশ দেখেছেন। কর্মক্ষেত্রের এসব তৎপরতায় তাদের অংশগ্রহণও তেমন একটা নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এভাবে কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার মধ্য দিয়ে গুগলের মতো মহিরুহ প্রযুক্তি কোম্পানি আগ্রাসী ও প্রতিশোধমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
এদিকে সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে গুগলের মুখপাত্র বলেছেন, সেদিনের প্রতিবাদ বিক্ষোভের কারণ আরও বেশ কিছু কর্মীর চাকরি গেছে, তা ঠিক। তবে ওই মুখপাত্র নিশ্চিত করে বলেননি, এ দফায় কতজন চাকরি হারিয়েছেন।
গুগলের মুখপাত্র আরও বলেছেন, আবারও নিশ্চিত করা হচ্ছে, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তারা সবাই ১৬ এপ্রিল গুগল কার্যালয়ের ভেতরে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে একাধিকবার নিশ্চিত করা হয়েছে।
‘প্রজেক্ট নিম্বাস’ নামে গুগল ও অ্যামাজনের সঙ্গে ইসরায়েলের ১২০ কোটি ডলারের ওই চুক্তি রয়েছে। চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরকে ক্লাউড পরিষেবা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইসহ উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ করে গুগল ও অ্যামাজন।
এই চুক্তির বিরোধিতা করে মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত কোম্পানিটির অফিসে শীর্ষ নির্বাহীর কক্ষের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন ওই কর্মীরা। ওই দিন বিক্ষুব্ধরা প্রায় ১০ ঘণ্টা এই চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি পালনসহ বিক্ষোভ করেন। ওই ঘটনার পর বিক্ষোভে জড়িত নয়জনকে অনধিকার প্রবেশের অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করা হয়।
গুগলের সিইইউ সুন্দর পিচাই এই ঘটনার পর কর্মীদের কাছে একটি মেমো পাঠিয়েছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, কাজে বিঘ্ন ঘটানোর জায়গা গুগল নয়। তিনি কর্মীদের আরও বলেন, তারা হলেন একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। ফলে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য তারা নীতি অনুযায়ী সবই করবেন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম