নাব্য সংকট, অবৈধ জালের ব্যবহার ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে গতিপথ পরিবর্তন করছে ইলিশ মাছ। সাগরে প্রচুর ইলিশ থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে ভোলার মেঘনা-তেতুঁলিয়া নদীতে ইলিশ আসা কমে যাচ্ছে। এতে পেশা হারানোর শঙ্কায় জেলেরা। এ অবস্থায় ইলিশের গতিপথ সচল রাখতে নদীর প্রবেশমুখে পরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ডুবোচর অপসারণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আর ইলিশের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সময়োপযোগী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালো মৎস্য বিভাগ।
জেলে ও ইলিশ ব্যবসায়ীরা বলেন, নদীতে চর পরে যাওয়ায় স্রোত কমে গেছে। তাতে সাগর থেকে মাছ আসতে পারছে না। জেলেরা মাছ পাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত তারা লোকসান দিচ্ছে।
এদিকে বছরের অধিকাংশ সময় ইলিশের আকাল থাকায় ভবিষ্যতে নিজেদের পেশা নিয়েও শঙ্কিত ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ। তিনি বলেন, এই চ্যানেলগুলো ড্রেজিং করলে নাব্য সংকট থাকতো না। মাছ নদীতে চলে আসতে পারতো।
চলাচলের সময় বাধার সম্মুখীন হলে ইলিশের গতি-পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে নাব্য সংকট দুর ও অবৈধ জাল অপসারণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ইকোফিশ প্রকল্পের গবেষণা সহযোগী অংকুর ইমতিয়াজ। তিনি বলেন, নদীতে যে ডুবোচর আছে তা ড্রেজিং করে অপসারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে অবৈধ জাল সমূলে ধ্বংস করতে হবে।
ইলিশের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পরিকল্পিত ড্রেজিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যে প্রতিবন্ধকতা আছে তা সরকারকে জানিয়ে দ্রুত বাধা অপসারণ করে মাছের বৃদ্ধি ঘটানোই আমাদের লক্ষ্য।’