৬ বিশ্বশক্তির সঙ্গে করা পারমাণবিক চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ অংশ থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। বুধবার ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এ ঘোষণা দেন। ফলে পুনরায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করতে থাকবে দেশটি। এটি পরমাণু অস্ত্র তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
তবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুনরায় চূড়ান্তভাবে শুরুর আগে ইউরোপীয় শক্তি, রাশিয়া ও চীনকে ৬০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে ইরান। এর মধ্যে যদি চুক্তি অনুযায়ী অবরোধ সরিয়ে নিতে দেশগুলো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তবে বর্তমান অবস্থানে অটল থাকবে ইরান। যদিও এমনটি ঘটার তেমন সম্ভাবনা নেই।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী বলেন, ‘আমরা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম অন্য দেশে বিক্রির পরিবর্তে সংরক্ষণ করবো। এবং আগামী ৬০ দিনের মধ্যে উচ্চ মাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করবো।’
২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তির পর ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের ওপর থেকে বিভিন্ন ধরনের অবরোধ উঠিয়ে নিয়ে ইরানকে দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন এবং দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ারও কথা ছিলো। বলা হয়, জ্বালানি তেলসহ ইরানের বিভিন্ন পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে বিনা বাধায় বিক্রি করার সুযোগ দেয়া হবে।
তবে ২০১৮ সালের মে মাসে ট্রাম্প পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তারপর ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে দেশটি। এতে চুক্তিটি প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়ে।
এটি ইরানের পক্ষ থেকে পরমাণু চুক্তি আংশিক বাতিলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অযৌক্তিক আচরণকে দায়ী করেছে রাশিয়া ও চীন। তবে ফ্রান্স বলেছে, চুক্তিটি বাতিলের কারণে ইরানের ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপ করা হতে পারে। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, পরমাণু অস্ত্রধারী ইরানকে সহ্য করবে না তার দেশ।