কাতার বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপের মাঠের শুরু হচ্ছে আজ সোমবার। প্রথম ম্যাচে ফেভারিট ইংল্যান্ডের সঙ্গে লড়বে এশিয়ার দেশ ইরান। দোহার খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি। বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল টি স্পোর্টস ও গাজী টিভিতে সরাসরি দেখা যাবে এই খেলা। বিশ্বকাপে ইরান পরীক্ষার আগে দুই কারণে আলোচনায় ইংল্যান্ড ফুটবল দল।
কাতার বিশ্বকাপের পর্দা উঠেছে একদিন আগেই। আজ সোমবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানের বিপক্ষে লড়বে ইংল্যান্ড দল। অবশ্য মাঠে নামার আগে এদিন ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে নিজেদের সম্মতি প্রকাশ করতে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদ জানাবে ইংল্যান্ড ফুটবল দল। দলটির কোচ গ্যারেথ সাউথগেট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় নিজেদের প্রথম ম্যাচ মাঠে নামবে হ্যারি কেইনের দল। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বর্ণবাদ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হাঁটু গেড়ে বসা হচ্ছে। ইংল্যান্ড দলের এই একাত্মতায় ফিফা ও কাতারের পক্ষ থেকে কোনো বাঁধা আসেনি।
এ নিয়ে কোচ সাউথগেট বলেছেন, ‘আমরা দল হিসেবে দীর্ঘ সময় এই প্রতিবাদ করে আসছি এবং এবারও আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি এটা বড় মঞ্চ এবং এর মাধ্যমে শক্তিশালী বার্তা দেওয়া হবে তরুণ সমাজের প্রতি, বিশেষ করে যাদের ভেতরে এমন ভাবনাটা রয়েছে।’
ফুটবল মাঠে সব সময়ই খেলোয়াড়রা ন্যায়বিচার চেয়ে আসছেন এ বিষয়ে। সম্প্রতি ক্রিকেট মাঠেও এ দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। ক্রিকেট বিশ্বকাপে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন গতি পায়। এবার ফুটবল বিশ্বকাপেও ছড়িয়ে পড়ছে এ আন্দোলন।
এদিকে সোমবার ইরানের বিপক্ষে ম্যাচে সমকামী প্রেমের সমর্থনে একটি বিশেষ আর্মব্যান্ড পরে নামতে পারেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। আর সেটা করলেই বিপাকে পড়বেন তিনি। কারণ কাতারের আইন অনুযায়ী, সে দেশে সমকামী প্রেম অপরাধ। বিশ্বকাপের আগে থেকে বেশ কয়েকটি এলজিবিটিকিউ সংস্থা এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। এই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ। তালিকায় রয়েছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, জার্মানি, সুইডেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও ওয়েলস। ‘ওয়ান লাভ’ -নামের একটি বিশেষ আর্মব্যান্ড সামনে এনেছে তারা।
ইরানের বিরুদ্ধে এই বিশেষ আর্মব্যান্ড থাকলে হ্যারি কেন-কে জেলেও যেতে হতে পারে। কারণ, বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা স্পষ্ট জানিয়েছে, যে দেশে বিশ্বকাপ হচ্ছে সেই দেশের আইন আর সংস্কৃতি মেনে চলতে হবে।