ইরানের দুটি প্রধান প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইনে হামলা ও বিস্ফোরণের পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে বলে দাবি জানিয়েছে দেশটি। কয়েকদিন আগেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দুই পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পসের সঙ্গে যুক্ত একজন সামরিক কৌশলবিদের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলের হামলার ফলে দেশটিতে লাখ লাখ মানুষের রান্নার গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ইরানের অভ্যন্তরে সামরিক এবং পারমাণবিক অবকাঠামোগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এছাড়া দেশের ভেতরে ও অন্যান্য দেশে থাকা ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী এবং কমান্ডারদের হত্যাচেষ্টা চালাচ্ছে।
ইরানের তেল মন্ত্রনালয়ে সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল, যা দেশব্যাপী গ্যাস স্টেশনগুলিতে সমস্যার উদ্রেক করেছে বলে জানানো হয়।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডবাহিনীর ওই সামরিক কৌশলবিদ নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, এই দুটি পাইপলাইনের মাধ্যমে ইরানের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তেহরানসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। ওই বিশ্লেষক বলেন, ‘এই দুটি হামলার ফলে ইরানের গ্যাস সরবরাহের অন্তত ১৫ শতাংশ বন্ধ হয়ে গেছে।
ইরানের তেলমন্ত্রী জাভেদ ওজি শুক্রবার ইরানি গণমাধ্যমকে বলেছেন, “শত্রুর পরিকল্পনা ছিল শীতকালে ইরানের বেশ কয়েকটি প্রধান শহর ও প্রদেশে গ্যাসের প্রবাহ সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত করা।”
তিনি বিস্ফোরণগুলোকে “নাশকতা এবং সন্ত্রাসী হামলা” হিসাবে উল্লেখ করেন। তবে তিনি হামলাকারী হিসেবে ইসরায়েলের নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি।
এদিকে এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে জানায় নিউইয়র্ক টাইমস।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম