ইরানিরা অর্থের অভাবে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করছে, দাবি দেশটির এক বিরোধী সংগঠনের। তারা ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে এসব বিক্রি করছে, দাবি সংগঠনটির। খবর যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের।প্যারিস ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন ন্যাশনাল কাউন্সিল অব রেজিস্ট্যান্স অব ইরান (এনসিআরআই) বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির প্রসার ঘটছে।তাদের রিপোর্ট অনুসারে, তেহরানের একটি সড়কের পাশের দেয়ালে হিজিবিজিভাবে লিখে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করার কথা জানানো হয়। এই কারণে ইতোমধ্যে সড়কটি ‘কিডনি স্ট্রিট’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।এনসিআরআইয়ের দাবি, বিক্রেতারা এখানে ফোন নম্বর এবং রক্তের গ্রুপ লিখে রাখেন যেন তাদের সঙ্গে পাশের হাসপাতালগুলোর রোগীরা যোগাযোগ করতে পারে। জনগণের এই অবস্থার জন্য দায়ী ইরানের সরকার।
সংগঠনটি একাধিক ঘটনার কথা উল্লেখ করে এই দাবি করে। এগুলোর একটির শিকার ৩০ বছর বয়সী এক পিএইডি শিক্ষার্থী। তিনি প্রতিবন্ধী মায়ের চিকিৎসার জন্য অর্থ যোগাড় করতে কিডনি বিক্রি করতে চান।এছাড়া অঙ্গ বিক্রির জন্য একটি ওয়েবসাইট আছে বলেও দাবি এনসিআরআইয়ের। সংগঠনটি এ থেকে একাধিক উদাহরণ উল্লেখ করে। এতে নিজেদেরকে সুস্থ দাবি করে অঙ্গ বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে বিক্রেতারা।এসব উদাহরণের একটি হলো ২৬ বছর বয়সী এক তরুণের আর্থিক সমস্যার জন্য তার কিডনি বিক্রি করতে চাওয়া। আরেকজন তার কিডনি এবং অস্থিমজ্জা উভয়ই বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দিয়েছেন এই ওয়েবসাইটে।এনসিআরআই জানায়, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মূল্যের মধ্যে বিভিন্নতা আছে। একটি লিভার ১৫ থেকে ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যায়। এছাড়া কিডনি এবং অস্থিমজ্জার মূল্য ১০ হাজার ডলার করে।