সাভারের আশুলিয়ায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (৯) ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। এ অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে।
গতকাল রোববার দুপুরে আশুলিয়ার দোসাইদ এলাকায় এ ঘটনার পরই শিশুটির পরিবার ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। তারপরই পুলিশ শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক আছে ওই ইমাম।
শিশুটির পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, শিশুটির বাবা-মা দোসাইদ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। শিশুটি সেখানেই একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। পাশাপাশি স্থানীয় বাইতুল মামুন জামে মসজিদের ইমাম আবদুল আল-মামুনের কাছেও পড়ত।
‘গতকাল বিকেলে ইমাম আবদুল আল-মামুনের কাছে পড়তে যায় শিশুটি। তখন ইমাম শিশুটিকে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে তা ভিডিও করে রাখে। বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দেয় ইমাম।’
ওসি আরো বলেন, ‘শিশুটি কৌশলে ওই ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। এ সময় কিছু লোকজনের সহায়তায় ইমাম সটকে পড়ে। পরে শিশুটির বাবা-মা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়।’
রাতেই আশুলিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শিশুটিকে উদ্ধার করে বলে জানান ওসি। ইমামকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সূত্র : এন টি ভি