কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে এটা সর্বোচ্চ শাস্তি। এই সময়ে বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষাসহ কোনো কিছুতেই অংশ নিতে পারবেন না।
বহিষ্কার হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন: ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী হালিমা আক্তার ঊর্মি, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান মীম, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম ইসলাম এবং মোয়াবিয়া জাহান।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে আরও কয়েকজন সহযোগীর দ্বারা নবীন ওই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ধারণ করে নেটে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উ ঠে। পরদিন সকালে ভয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যান ওই ছাত্রী।
পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। এরপর ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং হল কর্তৃপক্ষ দুটি কমিটি গঠন করে। এর বাইরে হাইকোর্টের নির্দেশে একটি বিচার বিভাগীয় এবং ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আরও দুটি কমিটি করে। কমিটি ১৮ ফেব্রুয়ারি কার্যক্রম শুরু করে। ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন