ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে প্রবল বৃষ্টিদে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও সাতজন। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের জেরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সাত লাখের বেশি বাসিন্দাকে।
রোববার (১০ মার্চ) স্থানীয় কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রদেশটি বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে প্রাকৃতিক দুযোর্গের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমন সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তা মুহাররিন্দো ইদওয়ান জানিয়েছেন, অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা পেসিসির সেলাতান এলাকায় ঘটেছে। সেখান থেকে মোট ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও সাতজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। প্যারিয়ামান এলাকায় ৩ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
তার ভাষ্যমতে, নিহতরা শুধু প্রবল স্রোতে ভেসে যায়নি, ভূমিধসের সময় মাটিতে চাপা পড়েছিল।
সুমাত্রার এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, প্রবল স্রোতে ১৬টি সেতু ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে ও ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমন সংস্থার জরুরি ইউনিটের প্রধান ফজর সুকমা শনিবার বলেছেন, বন্যা কমেছে, তবে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ডুবে আছে।
সুকমা জানিয়েছেন, নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দুর্যোগ সংস্থার কর্মী, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। ত্রাণ সংস্থা ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জরুরি ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম