২০২৩ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু সংক্রমণকে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তনকে এ ধরনের মশাবাহীত রোগ ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী করে গতকাল বুধবার এই তথ্য জানায়।
জাতিসংঘের সংস্থাটি আরও জানায়, এপ্রিলে সংক্রমণ শুরুর পর বাংলাদেশে ১ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মারা গেছেন ৬৫০ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশে শুধু গত মাসেই ৩০০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
গেব্রেয়াসুস জানান, রাজধানী ঢাকায় রোগের প্রকোপ কিছুটা কমে আসলেও দেশের অন্যান্য অংশে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বাড়ছে।
সংস্থাটি জানায়, তারা বাংলাদেশে মাঠ পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ মোতায়েন করেছে যারা সার্বিক তত্ত্বাবধানে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করছেন। একইসঙ্গে গবেষণাগারের সক্ষমতা ও আক্রান্ত সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতেও সহায়তা করছেন তারা।
সংস্থাটির অ্যালার্ট অ্যান্ড রেসপন্স পরিচালক আবদি মাহামুদ সম্মেলনে বলেন, এ ধরনের সংক্রমণের ঘটনাগুলো আসন্ন জলবায়ু সংকটের অশনিসংকেত’ দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এ বছরের বাড়তি উষ্ণতা সৃষ্টিকারী এল নিনোর মতো কিছু আবহাওয়াগত নিয়ামক বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আমেরিকাসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ভয়াবহ পর্যায়ের ডেঙ্গু সংক্রমণ সৃষ্টি করেছে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি