মোঃ খোরশেদ আলম,কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ বৃহত্তর কুমিল্লা জেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে কুমিল্লা দক্ষিণ ও উত্তর হিসাবে পরিচয় সর্বমহলে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অঙ্গসংগঠনের কমিটির রূপ দিয়েছেন জেলাকে দুই ভাগ করে। একই জেলার দক্ষিণ ও উত্তর একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ হলেও জেলার উত্তরের অংশ অনেকটা অনগ্রসর বলে ধারণা করছেন বিশিষ্টজনেরা।
তার কারণ হিসাবে তারা বলছেন, স্বাধীনতাপরবর্তী অধিকাংশ সময় বিশেষ করে জেলা দাউদকান্দি, হোমনা, মুরাদনগর, দেবিদ্বার উপজেলাগুলো বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল। যার ফলে অনেকটা অবহেলিত রয়ে গেছে এই জনপদগুলো। তবে সময়ের পরিক্রমায় এই অঞ্চলের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির যে আমূল পরিবর্তন এসেছে তার উদাহরণ গত দুই জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল। তারা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে কুমিল্লার এই জনপদগুলো এখন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।
তবে এই অনগ্রসর জনপথের মানুষের মধ্যে মন্ত্রিত্বের সাধ জেগেছে প্রবল। এবার তারা এই সাধ থেকে বঞ্চিত হয়ে আর পিছিয়ে থাকতে রাজি না। তাই গত কয়েক দিন যাবত ফেসবুকে দাবির বন্যা বইছে। কেন নয়, গত দশম সংসদে এই অঞ্চলে একজনও মন্ত্রী ছিল না। তাই উত্তর জেলার বৃহত্তর উপজেলার গ্যাসসমৃদ্ধ মুরাদনগরের কৃতি সন্তান যার সাফল্যের ঝুলি টুইটুম্বুর। যিনি ক্লিন ইমেজ নিয়ে সকলের প্রিয়স্থানে আসীন, সেই টানা দুইবারের এমপি সাবেক এফবিসিসিআই এর দুইবারের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনকে মন্ত্রিসভায় দেখতে চায় কুমিল্লা উত্তর জেলাবাসী।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা ৩ (মুরাদনগর) আসনে রেকর্ড পরিমাণ ভোটে (নৌকা দুই লাখ ৭৩ হাজার ১৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কে এম মজিবুল হক ১২ হাজার ৩৫৮ ভোট) বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ।
তাঁর এই বিজয়কে দলীয় জনপ্রিয়তা, ব্যক্তি ইমেজ উন্নয়নের অনন্য উদাহরণ হিসেবে দেখছেন মুরাদনগরের সকল স্তরের মানুষ তথা জেলাবসী। এত বিশাল ভোটের জয়ের পর থেকে মুরাদনগর তথা কুমিল্লা উত্তর জেলাবাসী ইউসুফ হারুনকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন। তাদের প্রত্যাশা মন্ত্রিপরিষদে শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও ক্লিন আদর্শের জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি কুমিল্লা উত্তর জেলাবাসীর ভালোবাসার উপহার হিসেবে মন্ত্রিপরিষদে জায়গা পাবেন ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন।