মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ইউপি সদস্য এর হামলায় মহিলাসহ তিন জন আহত হয়েছেন। এসময় তাদের বাড়ি ভাংচুরসহ টাকা ও মালামাল লুপাট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার দক্ষিন কালাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহ ছেলে সুমন মিয়ার (৩০) বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া তার বাড়ির আঙিনা মাটি ভরাট করার জন্য নিজ জমি থেকে মাটি নিয়ে আসার সময় কালাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আওলাদ মিয়া ও তার ভাই কালা মিয়া (৩৮), মোস্তফা মিয়া(৪৮), লেবু মিয়া(৪৮), রুপ মিয়া(৫৫), ও তার সাথী তোফায়েল মিয়া(২০), শাহান মিয়া(১৯) জয়নাল মিয়া(২১)সহ একটিদল তাদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আঙিনায় মাটি ফেলতে দিবেনা বলে বাধাঁ দেন। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সুমন মিয়ার উপর হামলা চালান। তার হামলায় সুমন মিয়া মারাত্মক ভাবে আহত হন। তার সঙ্গীরা এসময় সুমনের ঘর ভাংঙ্গচুর করে এবং টাকা পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তাদের হামলার শিকার আংগুরা বেগম (১৮), ইউনুছ মিয়া (৭৫) গুরত্বর আহত হন। পরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে সহযোগিতার জন্য জানালে পরে পুলিশ তাদের কবল থেকে সুমন মিয়ার পরিবারকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
বিভিন্ন তথ্য সুত্র জানা যায়, আওলাদ মিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সালে কালাপুর বাজারে পেট্রোল বোমা হামালায় জড়িত ছিলেন। পরে গ্রেপ্তার হয়ে ৩ মাস কারাভোগ করেন। অপকর্মের মধ্যে মাদক ব্যবসার সাথেও তার সম্পৃক্তা আছে বলে সূত্র জানায়। এ ব্যাপারেও বর্তমান ইউপি সদস্য কারাভোগ করেন। কালাপুর বাজারে অবস্থিত সাফিয়া বেকারীর নামে শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী (ভূমি) এসিল্যান্ড’কে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলেও চাঁদা চান। এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়। জিডি নং-৩৪৫, তারিখ: ৭-৮-২২ ইং। আওলাদ মেম্বার কালাপুর এলাকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বলে এলাকার অনেকে মন্তব্য করেন।
এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর সরদার বলেন, ভুক্তভোগীরা শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের কাছ থেকে যেটুকু আইনি সহায়তা পাওয়ার প্রয়োজন আহত পরিবার পাবে বলে নিশ্চিত করেন এবং হামলাকারী সে যেই হোন না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান ওসি।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান