পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতিতে বিশাল পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নতুন নীতি অনুসারে, পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সমর্থনে কোনো দেশ আক্রমণ করলে সেটা মোকাবিলায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই মন্তব্য করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এই বক্তব্যকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রচ্ছন্ন হুমকি বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।
বুধবার রাতে দেয়া এক বক্তৃতার পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণবিক অস্ত্রধর একটি দেশের সহযোগিতা নিয়ে পরমাণু শক্তিধর নয় এমন কোনো দেশের হামলাকে ‘যৌথ হামলা’ বলে ধরা হবে। এর ফলে দুই দেশই রাশিযার পারমাণবিক হামলার বৈধ লক্ষবস্তুতে পরিনত হবে। ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র না থাকলেও আমেরিকাসহ অন্য পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো মস্কোবিরোধী যুদ্ধে কিয়েভকে সহযোগিতা করছে। ইউক্রেন এখনো পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে আঘাত করার অনুমতি পায়নি। তবে এরকম অনুমতি প্রার্থনা করে আমরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ধর্না দিচ্ছে।
এদিকে জাতিসংঘের ৭৯ তম অধিবেশন চলাকালে নিউইয়র্ক সফর করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে তার সিরিজ বৈঠকের পর কিয়েভ শিগগিরই এমন অনুমতি পেয়ে যেতে পারে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এরকম অবস্থায় প্রেসিডেন্ট পুতিন তার নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার রাতে মস্কোয় আরো বলেন, তার দেশের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান ও ড্রোন হামলা শুরু হলে তাকে ‘মারাত্মক হুমকি’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তখন মস্কোর পক্ষ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
আজ ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শরৎকাল | ২৬শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১:২৭ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি