আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউক্রেনে চলছে যুদ্ধ, আর রাশিয়ায় কনডম কেনার ধুম! ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে পুতিনের দেশে এখন এরকম পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে যে কনডমের ঘাটতি হবে তা তাঁদের কাছেও অপ্রত্যাশিত ছিল। বিশ্বের অন্যতম কনডম উৎপাদক দেশগুলি যেমন তাইল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চিন, আগের মতোই রাশিয়ায় কন্ডোম সরবরাহ করে যাচ্ছে। তারপরেও চলতি মাসে দেশে কনডমের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ১৭০ শতাংশ।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষিতে আমেরিকা ও পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার উপর হরেকরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যার ফলে বড় পতন হয়েছে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের দামে। এই অবস্থায় মস্কোতে চলছে কনডমের জন্য হাহাকার। কনডমের দাম গিয়ে ঠেকতে পারে সাধ্যের বাইরে, বন্ধ হয়ে যেতে পারে সরবরাহ, এই আশঙ্কায় রাশিয়ার লোকজন ওষুধ কিংবা যৌন সামগ্রী বিক্রির দোকানে লাইন দিয়ে কনডম সংগ্রহ করছেন।
অন্যদিকে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় অনলাইন সামগ্রী বিক্রির বিপণী ‘ওয়াইল্ডবেরি’ জানিয়েছে, মার্চের প্রথম দু’সপ্তাহে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় কনডম বিক্রি বেড়েছে ১৭০ শতাংশ। সে দেশের বড় ওষুধ বিপণী ‘থার্টি সিক্স পয়েন্ট সিক্স’ জানাচ্ছে তাদের কনডমের বিক্রি বেড়ে গিয়েছে ২৬ শতাংশ। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়েছে। মোটের উপর পাইকারি বাজারে কনডমের দাম বেড়েছে ৩২ শতাংশ। এছাড়া রাশিয়ার সুপার মার্কেটগুলিতে কনডমের বিক্রি বেড়েছে ৩০ শতাংশ।
রাশিয়ার অন্যতম বড় যৌনসামগ্রী বিক্রির দোকান ‘প্রেসারভেটিভনায়া সেক্স শপ’-এর মালিক ইয়েসেনিয়া শামোনিনা জানান, মানুষ সম্ভবত ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাড়তি কনডম কিনে রাখছেন। আমরা দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছি। কিন্তু তাতেও বিক্রিতে কোনও প্রভাব পড়ছে না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে মাত্র ৯ সপ্তাহে, রাশিয়ায় ১.৩ বিলিয়ন রুবেল মূল্যের ৪ মিলিয়ন প্যাকের বেশি কনডম বিক্রি হয়েছে। আর রাশিয়া কনডমের জন্য বিদেশী দেশগুলির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। কারণ প্রতি বছর রাশিয়ায় প্রায় ৬০০ মিলিয়ন কনডম আমদানি করা হয় এবং দেশটি মাত্র ১০০ মিলিয়ন উত্পাদন করে থাকে।