আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউক্রেন যুদ্ধে বেশ কিছু এলাকা হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে যুদ্ধ ক্ষেত্রে আরও সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি। এতে করে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আরও সেনা মোতায়েন করতে পারবে রাশিয়া। খবর আল-জাজিরার।
পশ্চিমাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেছেন, তাঁর এই পদক্ষেপ কোনো ধরনের ধাপ্পাবাজি নয়। রাশিয়া তার ভূখন্ড রক্ষায় সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এদিকে, রাজধানী কিয়েভ থেকে আল-জাজিরা প্রতিনিধি গ্যাব্রিয়েল এলিজোন্ডো জানান, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক লক্ষ্য পূরণে পুতিনের এই পদক্ষেপ সুনির্দিষ্টভাবে যুদ্ধের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে। তাঁর মতে, এটা পরিষ্কার যে ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিন বিশাল সংখ্যার সামরিক বাহিনীকে ঠেলে দিতে চলেছেন।
এলিজোন্ডো বলেন, আপনি যেভাবেই দেখেন না কেন, এটা যুদ্ধকে আরও বাড়িয়ে দেবে, আর বুঝা যাচ্ছে যে ইউক্রেনে সামরিক লক্ষ্য পূরণে মস্কোর আরও সৈন্য লাগতে পারে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানান, এই অভিযানে আরও তিন লাখ সৈন্য মোতায়েন হতে পারে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ছাত্র ও বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের এই যুদ্ধে নাও তলব করা হতে পারে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিলিয়ান কীগান বলেছেন, এই হুমকিকে অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। তিনি বলেন, বিষয়টিকে আমাদের অবশ্যই ভীষণ গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে, পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই, এমনকি তা পুতিনের হাতেও নেই বলে আমি নিশ্চিত, এটা অবশ্যই যুদ্ধকে বাড়িয়ে দেবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রথমবারের মতো রাশিয়ান সৈন্য সমাবেশের নির্দেশ দেন যা তার সামরিক শক্তিমত্ত্বাকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের অর্থাৎ প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি হিসেবে দেখা হচ্ছে।