প্রদীপ কুমার দেবনাথ, স্টাফ রিপোর্টার ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।। ‘দক্ষ প্রশাসন, দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ’ এ শ্লোগানটির পুরোপুরি বাস্তবায়নের পথে নাসিরনগর উপজেলা। সারাদেশে যখন করোনার ভয়াবহ প্রকোপ তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের মাননীয় সাংসদ ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম সাহেবের পরামর্শ, নির্দেশনা, সুযোগ্য নেতৃত্ব এবং নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নাজমা আশরাফীর বিচক্ষণতায় অত্যন্ত দক্ষতা প্রদর্শন করে উপজেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছে করোনা সংক্রমণ।
উপজেলার প্রত্যেকটি সরকারি বেসরকারি দপ্তর, থানা, সাংবাদিক ও সচেতন জনতার সমন্বয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের মাধ্যমে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন।
নাসিরনগরের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুনাম। দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড যথাযথ পরিচালনা, অধীনস্থ সরকারি কার্যালয়গুলোর তদারকি, জরুরি অবস্থায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ, করোনা ইস্যুতে নিজ পরিবারের ছোট্ট শিশুটিকে মায়ের আদর বঞ্চিত করে রাতদিন জনসেবায় ছুটে চলা, সরকারি ত্রাণসামগ্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রকৃত লোকদের মাঝে বন্টন, প্রত্যেকটা ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের জন্য বিরতিহীন ছুটে চলা যেন এক অকুতোভয় যুদ্ধার যুদ্ধ জয়ের তীব্র নেশায় ছুটে চলা।
তবে এ ব্যাপারে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ১ ( নাসিরনগর) আসনের মাননীয় সাংসদ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রাফিউদ্দীন আহমেদ সহ ভাইস চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মেম্বার, আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী সহ সকল সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পাচ্ছেন। ভলাকুট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া বলেন, আমাদের এমপি মহোদয় ও ইউএনও স্যারের চমৎকার সমন্বয়ের কারণে ভাটি অঞ্চলের এ অসচেতন মানুষগুলোকেও স্যার সতর্ক করে তুলেছেন।
ফান্দাউক ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক বলেন, সারাদেশে COVID-19 এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে কিন্তু নাসিরনগরে প্রথম একটু সমস্যা হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জনাব নাজমা আশরাফীর তৎপরতা ও মাননীয় এমপি মহোদয়ের সুদক্ষ নির্দেশনার কারণে আল্লাহর রহমতে নাসিরনগর এখন করোনা মুক্ত।
কয়েকজন সাধারণ নিম্ন আয়ের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় করোনার প্রভাবে তারা কর্মহীন থাকলেও ইউএনও স্যার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ও ত্রাণ সামগ্রী নিয়মিত বিতরণ করায় উনাদের চলতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। ঈদ উপলক্ষ্যে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বিপণি বিতান, দোকানপাট ব্যবসায়ীরা খোলা রাখলেও নাসিরনগরবাসীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও করোনার বর্তমান প্রকোপের কথা চিন্তা করে ঈদ উপলক্ষ্যে কোন বিপনি-বিতান না খোলার সিদ্ধান্ত নেন সকলের সম্মতিক্রমে।
তাছাড়া নাসিরনগর প্রবেশের প্রত্যেকটি দ্বারে পাহারার ব্যবস্থা করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত মাইকিং, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণ সহ ইউনিয়ন পর্যায়ে চেয়ারম্যান, মেম্বার, দফাদার সহ সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, সংবাদকর্মীদের করোনা সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধিতে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম সাহেবের পরামর্শক্রমে মাননীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন কর্তব্যনিষ্ঠায় সকলে ভূয়সী প্রশংসা করেন। সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ইউএনও মহোদয়ের এ পদক্ষেপে সন্তুষ্ট।
উল্লেখ্য প্রাথমিক অবস্থায় বিদেশফেরত এক প্রবাসী ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নাজমা আশরাফী তার সঙ্গীয় কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় নাসিরনগর এখন সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত।
সর্বশেষ তথ্যমতে উপজেলায় মোট আক্রান্ত ছিল ৯ জন, মোট সুস্থ – ৮ জন এবং মৃত ১ জন। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ০ ( শূন্য) জন।