মোঃ সদরুল কাদির (শাওন)::
দোকানপাট, অফিস-আদালতসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড-ব্যানারে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ফেব্রুয়ারি মাসের আগে আগে মাঠে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে সোমবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর বনানীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সাইনবোর্ড বাংলায় না লেখা এবং অবৈধভাবে এলইডি চালানোর অপরাধে বনানী-১১ নম্বর সড়কের ১০টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— লিটল অ্যাঞ্জেলস, গ্রেট ইন্টারন্যাশনাল, বিএফসি, গিঞ্জা, ফিট অ্যালিগেন্স, অ্যাঞ্জেলা, মুন্স, আনজারা, রিয়েল থাই ও লেদারেক্স। এছাড়া বিএফসি, রিয়েল থাই ও লেদারেক্সের সাইনবোর্ড তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করা হয়।
হাইকোর্ট বিভাগের ১৬৯৬/২০১৪ নং রিট পিটিশনে প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী সব প্রতিষ্ঠানের (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে হাইকোর্টের আদেশটি ডিএনসিসি এলাকায় নিশ্চিত করার দায়িত্ব ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়।
এ প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ডিএনসিসির এখতিয়ারাধীন এলাকার যেসব প্রতিষ্ঠানের (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি বাংলায় লেখা হয়নি তা অবিলম্বে স্ব-উদ্যোগে অপসারণ করে ৭ দিনের মধ্যে বাংলায় লিখে প্রতিস্থাপন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। মাইকিং, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ প্রেরণসহ ডিএনসিসি-র ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পাতায়ও গণবিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। সে সময় প্রায় সবগুলো প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
হাইকোর্টের আদেশ এবং ডিএনসিসির গণবিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়ন না করার অপরাধে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকটি নামফলক, সাইনবোর্ড ইত্যাদিতে বাংলা ভাষা নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে।