বিদেশি পেশাজীবী ও শ্রমিক কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে কুয়েত। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার কুয়েত থেকে ফেরত আসতে হতে পারে আড়াই লাখ প্রবাসীকে। কুয়েতে কাজ করা প্রতিটি দেশের জন্য একটি কোটা নির্ধারণ করে বিদেশি পেশাজীবী ও শ্রমিক কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে তারা। এ সম্পর্কিত একটি বিল কুয়েতের সংসদে উপস্থাপন করার প্রক্রিয়া চলছে। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিটি দেশের জন্য একটি কোটা থাকবে। বাংলাদেশের জন্য এই কোটা হবে কুয়েতের জনসংখ্যার ৩ শতাংশ। বর্তমানে কুয়েতের জনসংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ। সেখানে বাংলাদেশি আছে ৩ লাখেরও বেশি। নতুন প্রস্তাব কার্যকর হলে বাংলাদেশিদের কোটা দাঁড়াবে মাত্র ৪০ হাজার। কুয়েত টাইমস।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম বলেন, ‘বিলটি পাস হলে আমাদের লোক কিছুই থাকবে না। এটা নিয়েই যুদ্ধ করতে হবে। তবে যুদ্ধ করলেও আমি ঠিকমতো বুঝতে পারছি না কুয়েতিরা কী করছে। এই লোকগুলো চলে গেলে কুয়েত তো অচল হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘তারা বেশিরভাগ লোককে বিদায় করবে। বিলটি পাস হলে বাংলাদেশিরা সমস্যায় পড়বে। তবে যে স্তরে আমাদের লোকজন কাজ করেন, সেখানে কুয়েতিরা কাজ করবেন না। তবে কুয়েতের তেল খাতে এখন কোনও বিদেশি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।’
এদিকে আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়েতে অবস্থানরত ভারতীয়দের সংখ্যা কুয়েতের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশের বেশি হবে না। মিশরীয়, ফিলিপিনো ও শ্রীলঙ্কানদের জন্য কোটা ১০ শতাংশ। বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামের জন্য তিন শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে সুপারিশ করা হয়েছে।