আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের প্রধান নদীগুলোর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যে ভূমিধস ও অন্যান্য ঘটনায় রাজ্য দুটিতে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আসামের ২৮টি জেলার অন্তত ১৯ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় তিন হাজার গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলাগুলোর মধ্যে নবগঠিত বাজালি জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
আসামে গত দুই দিনে বন্যায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে মেঘালয় প্রশাসন গত ২ দিনে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। বন্যাকবলিত জেলাগুলোর প্রশাসন জরুরি প্রয়োজন বা কোনো জরুরি চিকিৎসাজনিত প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলছে, বন্যার কারণে ২২টি জেলার অন্তত ৭লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং এদের অধিকাংশই শিশু। দুই হাজারের বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ৯৫ হাজার হেক্টরের মতো ফসলি জমি।
কর্তৃপক্ষ জানায়, উদ্ধারকর্মীরা স্থানীয়দের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছেন। ছোট ছোট নৌকায় করে সরানো হচ্ছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে রাজ্য সরকার মেঘালয়ের ৪টি অঞ্চল দেখার জন্য চারটি কমিটি গঠন করেছে। আর প্রতিটি কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন একজন করে মন্ত্রী। কিছু অংশ ধসে পড়লে জাতীয় মহাসড়ক-৬ এ ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মহাসড়কটি ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম, মিজোরাম এবং মেঘালয়ের কিছু অংশের যোগাযোগের একমাত্র উপায় বলা যায়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার পর্যন্ত আসাম ও মেঘালয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৭২ মি. মি. অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। দুই রাজ্যে চলতি সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।