আগামী ১৬ মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ৩৩টি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে একাই প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের শীর্ষ নেতা ফওয়াদ চৌধুরীর টুইটারে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে চলতি বছরের ১৬ মার্চ পাকিস্তানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০২২ সালের এপ্রিলে জাতীয় পরিষদ থেকে দলীয় প্রধান ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সংসদের নিম্নকক্ষ থেকে গণ পদত্যাগ করেছিলেন পিটিআই দলের একাধিক সদস্য। স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফের কাছে পিটিআইয়ের ৩৫ জনেরও বেশি সদস্য ইস্তফা দেন। স্পিকার ইমরান খানের দলের আইন প্রণেতাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পর ৩৩টি আসন খালি হয়ে যায়।
পদত্যাগ করা আইনপ্রণেতাদের মধ্যে হায়দার আলী খান, সেলিম রেহমান, সাহেবজাদা সিবগাতুল্লাহ, মেহবুব শাহ, মুহাম্মদ বশির খান, জুনায়েদ আকবর, শের আকবর খান, আলী খান জাদুন, ইঞ্জিঃ উসমান খান তারাকাই এবং মুজাহিদ আলী অন্যতম।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এদিকে, গতকাল রোববার রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশির বলেন, ১৬ মার্চ যে উপনির্বাচন হবে তাতে ইমরান খানকে সবাই ভোট দেবেন বলে আশাবাদী তিনি। ইমরানের উপর সকলের যে এখনও ভরসা রয়েছে, তা ভোটের মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে বলে তিনি মনে করেন।
কুরেশি আরও জানান, সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাই আগামী ১৬ মার্চ উপনির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ইমরান খান সব আসনে একা নির্বাচন করবেন। পিটিআই রাজনীতির মাঠ ফাঁকা রাখবে না বলে জানান এ নেতা।
ধারণা করা হচ্ছে, ইমরান খান ৩৩টি আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মূলত তার জনপ্রিয়তা যাচাই করতে। আসন খালি হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে তা পাকিস্তানের সংবিধানের লঙ্ঘন হবে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন