নাহ, হলো নাহ, থাক নাহ! আমি বরং ফিরেই যাই! একটু জায়গা তো হলো নাহ, জায়গার কথা বলছি কেন, জায়গা হলে তো, এতটুকু অধিকার থাকে, আমি তো চেয়েছিলাম এতটুকু আশ্রয়, সেটুকুও তো হল নাহ, তার চেয়ে বরং আমি ফিরেই যাই। যেতেই হচ্ছে, যেতেই হয়।
ভাগ্য বিধাতা কেন যেন, এমনটিই লিখেছে,
কতবার কতজনের কাছে গিয়েছি,
একটু আশ্রয়ের আশায়,
কই কেউ তো এতটুকু আশ্রয় দেয়নি,
কেন দেয়নি তার পুরো দায় সবই আমার,
মন থেকে চেয়েছিলাম, ভেবেছিলাম,
কিছুটা প্রত্যাশা তো ছিলোই,
অন্তত শেষ বারের মত তোমার কাছে আশ্রয় পাবোই,
কেন যে পেলাম নাহ, সেটার আর উত্তর খুঁজতে চাই নাহ!
আর কেন পাই নাহ, সেটা আমি বেশ ভালোই জানি,
তবুও কেন জানি বারবার মনে হতো!
তোমার সাদাকালো মুখটা,
আমার ভেতরটা নতুন করে জাগ্রত করে তোলে,
সত্যি বলছি আমাকে নতুন করে জাগ্রত করে তুলে,
নতুন জীবনের আশা দেখায়,
আমি জাগ্রত, আমি জাগ্রত দিবানিশি, চলেছি পথ, চলেছি পথ!
আরও কত কিছু, মনের মধ্যে কত কিছুই না ভেবেছিলাম,
এখন আমার মনে হয় কি,
এভাবে চলতে দেওয়া যায় নাহ!
এবার বরং রাশ টেনে ধরি!
জীবনের কঠিন দাঁড় বাইতে বাইতে,
যে দাঁড় সবসময়ই পিছন থেকে ছুটে গেছে,
সেই পিছন থেকে ছুটে যাওয়া দাঁড়টা আর কত দিন,
একটা সময় তো আসে!
দাঁড়ের শেষ প্রান্তটা শেষ হয়ে যায়!
সেই শেষ প্রান্তে এসে শেষ বারের মত!
আশা সঞ্চয় করে তোমার কাছে পেতেছিলাম দু-হাত,
সেই তুমিও ফিরিয়ে দিলে!
তোমার কি একটি বারও মনে হয়নি!
যাকে ফিরিয়ে দিচ্ছো, কেন দিচ্ছো!
তুমি জানো নাহ, কিন্তু আমি জানি!
কেন জানি জানো, এজন্যই জানি,
আমার ভেতরের আর্তনাদ, ভেতরের আর্তচিৎকার,
নতুন করে বেঁচে থাকার একটা আশার আলো!
আমি তোমার সাদাকালো মুখে দেখেছিলাম,
একটু আশ্রয় আর আশায় বুক বেঁধেছিলাম!
কক্ষনও মনেই হয়নি, তোমার কাছে আশ্রয় চাইতে গেলেও,
তুমি আমাকে ছোট করে দেখবে!
মাঝে মধ্যে মনে হয় তুমি আমাকে আশ্রয়হীন করবে নাহ,
কিন্তু আমি তো তোমার কাছে আশ্রয় নিতে পারিনি,
পারিনি তোমার মনের কেন এতটুকু জায়গা করে নিতে,
সে দায় কি তোমার বলো,
সব দায় তো আমার, আমার ব্যর্থতা!
আমার অজানা মন খুঁজে বেড়ানোর উপায়,
আমি কিন্তু কক্ষনও, কোন দিন তোমার মন খুঁজে পাইনি, কেন জানো, উমহুহ, তুমি জানো নাহ তো!
কিন্তু আমি জানি মন খুঁজে পেতে হলে,
নিজেও একটা সুন্দর মন থাকতে হয়,
আর ধরে রাখার মন তো থাকতে হয়,
আমার সে মন তো ছিলো নাহ কক্ষনও,
কক্ষনওই না, কোন দিনই ছিলো নাহ!
কিন্তু আমি জনি আমার ভেতরটা, আমার বাইরের টা, আমার সমস্ত পৃথিবীর অস্তিত্ব সবই বেদখল হয়ে গেছে, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতায়!
কোথায় জানো তার নাম তোমাদের বাস্তবতা,
সত্যিই বাস্তবতা, এই বাস্তবতার সাথে আমার কক্ষনও পরিচয়ই হয়নি, কক্ষনও জানা হয়নি!
তবে হ্যাঁ এই বাস্তবতা শব্দ টা, আমি শুনেছি বেশ কয়েক বার, তোমাদের মুখে, তুমি কি জানো একটা শব্দ শুনলেই কি, সেই শব্দ সম্পর্কে সবকিছু জানা যায়, বোঝা যায়, উপলব্ধি করা যায়!
অনুভব করা যায়,
করিনি তো কক্ষনওই করি করিনি,
এই বাস্তবতা অনুভব করিনি বলেই তোমার কাছে আশ্রয় চাইতে গিয়েও পাইনি,
কারণ তোমার সাথে বাস্তবতার মিথেল যোগ করে,
এক অসম্ভব সুন্দর জীবন গড়েছো তুমি,
কিন্তু আমি তো পারিনি,
আচ্ছা কেন পারিনি,
আর তোমরা কেন, কিভাবে পারো!
উহহু, আচ্ছা বোকার মত শুধু তোমাকেই প্রশ্ন করেই চলেছি, অথচ সব গুলো প্রশ্নের জবাব আমি নিজেই জানি তোও, হয়তো তোমার চেয়েও বেশি,
কেন জানি জানো, আমি যে প্রশ্ন করি,
কেন প্রশ্ন করি,
প্রশ্ন করি বলেই তো প্রশ্নের জবাব টা জানি,
তুমি জানো নাহ, সত্যি ই জানো নাহ,
কিভাবে আশ্রয় দিতে হয়,
কিভাবে আগলে রাখতে হয়,
কিভাবে যত্ন নিতে হয়,
অসহায় এক বাজপাখিকে!
জানো, ঝড়ের কবলে পরে কোন এক বাজপাখি,
প্রচন্দ্র পরিমানে আহত হয়ে যখন শীতের সকালে কাতরায়, তুমি কক্ষনও দেখেছো,
সে বাজপাখি চোখটা দেখেছো,
সে কতটা অসহায়ত্ব নিয়ে চেয়ে থেকে বেঁচে যায়,
আকুল আবেদন করে যায় প্রকৃতির কাছে,
দেখোনি তো,
তবে তুমি জানবে কি করে,
কিন্তু আমি শুধু দেখিই নাই,
আমি সেই অসহায় বাজপাখির মতোই চেয়েছিলাম,
সত্যিই চেয়ে ছিলাম!
তার চেয়ে বরং এক কাজ করি,
আমি বরং তোমাকে ছেড়েই দেই,
স্বস্তিতে, শান্তিতে, সুন্দরে থাকো তুমি অম্লান এক সুন্দর পৃথিবীতে।
আমি না হয় ফিরেই গেলাম,
জানো, আমি এভাবে বলতে পারবো তোমার কানের কাছে ঘন্টার পর ঘন্টা, রাতের পর রাত।
কিন্তু তোমার যে ঘুম ভাঙবে নাহ।
যখন জেনেই গেছি তোমার ঘুম ভাঙবে নাহ,
আমি তোমার ঘুম ভাঙাতে পারবো নাহ,
তার চেয়ে বরং ফিরেই গেলাম,
সত্যিই ফিরে গেলাম৷
শুধু বলে গেলাম ভালোবাসতে পারিনি,
ধরে রাখতে পারিনি, তুমি ভালো থেকো,
তবে একটা অভিশাপ দিয়ে যাচ্ছি,
কক্ষনও আমার মত করে কেউ কক্ষনও তোমায় ভালোবাসতে চাইবে নাহ, তাই ভালোবাসতেও পারবে নাহ, এক অতৃপ্ত আত্মার আর্তনাদ তোমাকে খুরে খুরে খাবে, সময়ে অসময়ে, দিনে রাতে, সর্বক্ষণ, সর্বময় মূহুর্তে,
তোমার সর্বস্ব অস্তিত্বে একটা সময় আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছো বলে, তোমাকেই খুরে খাবে,
তুমি অভিশপ্ত, তুমি অভিশপ্ত নিঃশ্বাস নিয়ে যাবে অবিরাম কেঁদে যাবে।
সেদিন আমি আকাশে উড়াল দেবো,
সেদিন আমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবো,
সেদিন তোমার অস্তিত্ব বিলিয়ন হচ্ছে যাবে আমার হৃদয় থেকে,
তুমি বলতেও পারবে নাহ আমিও ভালোবেসেছিলাম!
ডিবিএন/এসডিআর/ মোস্তাফিজ বাপ্পি