আল আমিন-বিলালদের বোলিং তোপে সংগ্রহটা বড় করতে পারেনি দুর্দান্ত ঢাকা। টানা দ্বিতীয় জয়ের মিশনে সহজ লক্ষ্যই পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার (২২ জানুয়ারি) নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৬ রান সংগ্রহ করেছে ঢাকা। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আল-আমিন হোসেন ও বিলাল খান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লড়াইয়ের জন্য ভালো পুঁজি পায়নি ঢাকা। শুরু থেকেই চট্টগ্রামের বোলারদের তোপে পড়ে তারা। দলের খাতায় ১ রান যোগ হতেই আল আমিনের বলে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হন লঙ্কান ব্যাটার দানুশকা গুনাথিলাকা। এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি সাইফ হাসান। আল-আমিনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন নাজিবউল্লাহ জাদরানকে। ৯ বল মোকাবিলায় ৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
পরের ওভারেই ফেরেন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আলোড়ন তোলা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার অ্যালেক্স রসকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মোহাম্মদ নাঈম। ১১ বলে ৮ রান করে দলীয় ৩১ রানে তিনি শিকার হন নিহাদুজ্জামানের। সে চাপ সামলে না উঠতেই দুই বল পর রান আউটের শিকার হন রস। বিগ ব্যাশে সিডনি থান্ডারের হয়ে খেলা এ ব্যাটার ৯ বলে ১১ রান করেন।
এরপর অবশ্য গুনাথিলাকার কনকাশন সাব হয়ে নামা লাসিথ ক্রুসপুলে পথ দেখান ঢাকাকে। ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে দলকে পার করে দেন শতরান। দুজনের জুটিতে আসে ৭৩ রান। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৪৬ রান করে ইনিংসের ১৬তম ওভারে আউট হন ক্রুসপুলে। পরের ওভারে বিলাল খানের বলে বোল্ড হন শুক্কুর। ২৬ বলে ২ চারের মারে ২৭ রান করেন তিনি।
দুজনের বিদায়ে মন্থর হয়ে আসে ঢাকার রানের গতি। শেষদিকে ৯ বলে ১৫ রান করে দলের সংগ্রহটা ১৩০ পার করে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
চট্টগ্রামের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন আল-আমিন। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ২ উইকেট তুলে নেন মাত্র ১৫ রান খরচায়। ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট নেন বিলাল। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন শুভাগত হোম, নিহাদুজ্জামান ও কার্টিস ক্যাম্ফার।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম