খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এ দামে আলু বিক্রি করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আলুর দাম ৩৫ টাকা, এটা অনেক দাম। বাস্তবতা বিবেচনা করে আমরা আরও পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করে দিলাম। কিন্তু আলুর দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা- এটা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে অ্যাগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরাম-এআরএফ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৩৫ টাকা মনে হয় ঠিক আছে। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে যেহেতু, বাজার ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। সরকার নির্ধারিত ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কিনা দুই-একদিনের মধ্যেই বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে।
কৃষিমন্ত্রী জানান, এ বছর করোনাভাইরাস মহামারীতে হতদরিদ্র মানুষ ও রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ করা ত্রাণে বিপুল পরিমাণ আলু বিতরণ করায় ও বন্যার কারণে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আলু উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর প্রতি কেজি আলুর খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল ৩০ টাকা। একইসঙ্গে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ২৫ ও কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা বেধে দেয় সরকার। তবে, দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে এখন থেকে পাইকারি পর্যায়ে ৩০ ও কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়বে ২৭ টাকা।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরেই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আলুর দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, প্রতিকেজি আলুর খুচরা দাম নতুন করে ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হবে। এসময়, খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম অনেকে বেড়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।