গত বছর আওয়ামী লীগের আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ব্যয়ও। এছাড়া রাজনৈতিক দল হিসেবে ১০০ কোটি টাকার বেশি ব্যাংক স্থিতি রয়েছে ক্ষমতাসীন দলটির।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচনে কমিশন সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। ইসি সচিব শফিউল আজিমের কাছে ২০২৩ পঞ্জিকা বছরের আয় ব্যয়ের হিসাব জমা দেন তাঁরা।
বিবরণী অনুসারে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি দলটির ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৭৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। আর বছর শেষে অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর দলটির ব্যাংক হিসাবে রয়েছে ৯০ কোটি ৫৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
এই সময়ে দলটির ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। আয় ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের ব্যাংকে ৭৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জমা ছিল জানিয়ে আশিকুর রহমান বলেন, গত বছর আয় হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। মাসিক চাঁদা, সদস্যরা চাঁদা দেন-যার পরিমাণ ১ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। অনুদান প্রাপ্তি (মেঘনা ব্যাংক পিএলসি) ১ কোটি ১ লাখ টাকা। নমিনেশন ফরম বিক্রয় (৩৩৬৫ জন) ১৬ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ফরম বিক্রয় (অন্যান্য) ২ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ভাড়া (২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অন্যান্য (উত্তরণ, বিদ্যুৎ বিল) ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। যার মাধ্যমে দলটি ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছে।
দলটির ব্যয় নিয়ে তিনি বলেন, ব্যয় হচ্ছে বেতন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নানারকম খরচ। পোস্টার ছাপানো, মানুষকে অনুদান, সাহায্য সহযোগিতা যা আমরা করে থাকি। বছরের শুরুতে যে জমা টাকা আছে পাশাপাশি এ বছরের উদ্বৃত্ত ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৯ হাজার টাকা, এ দুটো যোগ করলে ৯০ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার টাকা হয়।
এদিকে গত ৬ মাসে আয় বেড়েছে জানিয়ে দলটির কোষাধাক্ষ্য আরও বলেন, এখন আমরা ১০০ কোটি ক্রস করে গেছি। অন্য দলের খরচ যদি হয় ১০ টাকা, আমাদের খরচ হয় দুই টাকা। কর্মীরা পকেট থেকে খরচ করে। কারণ আমরা ত্যাগ ও আদর্শের রাজনীতি করি।
২০২২ সালে দলটির আয় ছিল ১০ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬৮ টাকা। ব্যয় হয়েছিল ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৯ টাকা।
প্রসঙ্গত, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিরও) ১৯৭২ অনুসারে, সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে ৩১ জুলাইয়ের আগে তাদের আর্থিক বিবরণী জমা দিতে হয়।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম