এই তো কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চিন্তার নাম ছিল ফিল্ডিং। ক্যাচ মিস, ফিল্ডিং মিসে দেখতে হচ্ছিল একের পর এক ভরাডুবি। তবে এক সিরিজেই পাল্টে গেল কতো কিছু!
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং টিম হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তার অধীনে প্রথম সিরিজ শেষ করার পর টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেই দিলেন, বাংলাদেশ সম্ভবত এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ইংল্যান্ডকে টি২০ সিরিজে হারানোয় চোখে লাগার বিষয় ফিল্ডিং। পুরো সিরিজে দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছেন ক্রিকেটাররা। গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচের মোড়ই তো ঘুরিয়ে দেয় পয়েন্ট থেকে মেহেদী হাসান মিরাজের থ্রোয়ে জস বাটলারের রানআউট। এর আগে দুর্দান্ত স্টাম্পিংয়ে ফিল সল্টকে আউট করেন লিটন দাস।
সিরিজের শেষ ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কের কাছে তাই অবধারিতভাবে উঠলো ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন। সাকিবও সবকিছু পর্যালোচনা করে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সাকিব বলেছেন, ‘তিনটা ম্যাচেই আমার মনে হয় অসাধারণ ফিল্ডিং করেছি। যেটা আমাদের বিশেষত টি২০ ম্যাচে যেখানে ২-৪-১০-১৫-২০ রান পার্থক্য গড়ে দেয়, ওই জায়গাতে আমরা এবার অনেক বড় একটা টিক মার্ক দিয়েছি। ’
দলের ফিল্ডিং নিয়ে পরে আরেক প্রশ্নে টি২০ অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই! এটা (সিরিজে বাংলাদেশের ফিল্ডিং) সাধারণ যে কোনো মানুষেরই চোখে পড়েছে। তিন ম্যাচেই যে ধরনের ফিল্ডিং আমরা করেছি। ইংল্যান্ড এত ভালো ফিল্ডিং দল। আমার মনে হয়, আমরা তাদের থেকে ভালো ফিল্ডিং করেছি। সেই জায়গা থেকে অনেক বড় একটা টিক মার্ক। ’
এরপরই সাকিব বলে দেন, খুব সম্ভবত বর্তমানে এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল বাংলাদেশ। সাকিব বলেন, ‘আমি যদি সবকিছু বিবেচনায় রাখি, আমাদের সবচেয়ে বড় উন্নতি হয়েছে ফিল্ডিংয়ে। যেটা আমাদের সবসময়ই করা উচিত। আমাদের দলের অন্তত পরিকল্পনা আছে, আমরা যেন ফিল্ডিংয়ে এশিয়ার সেরা দল হতে পারি। আমার মনে হয় না, আমরা খুব বেশি দূরে আছি। এই দলটা সম্ভবত এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল…আমি বাদে যদিও। ’