মহাকাশে সূর্যের মতো অন্য নক্ষত্রগুলোর তুলনায় খানিক দুর্বল হয়ে পড়েছে সূর্য। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা সূর্যের সঙ্গে অন্যান্য নক্ষত্রের তুলনা করে এমনই দাবি করছেন।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের তথ্য ব্যবহার করে জার্মানিতে বিজ্ঞানীরা মিল্কি ওয়েতে সূর্যের মতো অন্য নক্ষত্রগুলোর সঙ্গে সূর্যের আলোর তুলনা করে দেখেছেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ৯ হাজার বছর ধরে একটি শান্ত সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে সূর্য অথবা বাস্তবে তার আলো অন্য সমমানের নক্ষত্রদের চেয়ে কিছুটা কমে গেছে।
বিজ্ঞানীরা সূর্যের মতো আড়াই হাজারেরও বেশি নক্ষত্র নিয়ে গবেষণা করেছেন। ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. আলেকজান্ডার শাপিরো বলেন, ‘আমরা বেশ অবাক হয়েছি সূর্যের মতো দেখতে অন্য নক্ষত্রগুলি সূর্যের থেকে বেশি সক্রিয় থাকে।’
অপর গবেষক ড. টিমো রিনহোল্ড বলেন, ‘অনুমান করা হচ্ছে, সূর্য বেশ কয়েক হাজার বছর ধরে খুব শান্ত একটি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে।’
এই সময়সীমা যে ৪.৬ বিলিয়ন বছর বয়সি সূর্যের আয়ুষ্কালের নিরিখে অত্যন্ত সামান্য একটা সময়সীমা, তা বলাই বাহুল্য।
৯ হাজার বছর আগে সূর্যের সক্রিয়তা কতটা ছিল, তা খুঁজে বের করারও কোনো উপায় নেই। তাই বিজ্ঞানীরা এর পরিবর্তে সূর্যের সঙ্গে অন্য নক্ষত্রদের তুলনা করে দেখছেন। অস্ট্রেলিয়ার সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্কুল অব স্পেস রিসার্চের সঙ্গে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের গবেষকরা বাকি নক্ষত্রের তুলনায় সূর্য স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে কিনা তা অনুসন্ধান করেছেন।
কিন্তু কেন সূর্য কম সক্রিয় রয়েছে, তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। বিজ্ঞানীরা এমনও বলছেন, হতেই পারে সূর্য তার মতো দেখতে অন্য নক্ষত্রদের থেকে আলাদা। আর তাই সে এমন আচরণ করছে। তবে এ ব্যাপারে তেমন করে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।