সরকারের বেঁধে দেয়া দরের অর্ধেক দামেও চামড়া কিনছে না নওগাঁর ব্যবসায়ীরা। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা একটি গরুর চামড়া ৪শ থেকে ৬শ টাকা দরে কিনলেও বিক্রি করতে পারছে মাত্র আড়াইশো থেকে সাড়ে ৩শো টাকায়। সিন্ডিকেটের অভিযোগ থাকলেও ব্যবসায়ীরা দেখাচ্ছেন নানা অজুহাত। এমন দরপতনে সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এবারের কোরবানি ঈদে সরকার প্রতি বর্গফুট চামড়ার দর ৪০ টাকা বেঁধে দিলেও তার অর্ধেক দামও দিচ্ছেন না নওগাঁর ব্যবসায়ীরা। ৪০ থেকে ৪৫ বর্গ ফুট একটি গরুর চামড়া ব্যবসায়ীরা মাত্র আড়াই শ থেকে ৩শ টাকায় কিনছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। গেল বছরের চেয়ে এবার অর্ধেক দরও না পাওয়ায় মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের সুফলভোগী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলেন, ‘একটা গরু ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় কিনে তার চামড়ার দাম ৩শ’ টাকা হলে আমরা কোথায় যাবো। চামড়ার টাকা গরীবের হক। সেই হক আমরা তাদের দিতে পারছি না।’
জেলার প্রান্তিক পর্যায় থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করে আড়ৎগুলোতে আনার পর কেনা দামও না পাওয়ায় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন তারা।
মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘চামড়া যে দামে কিনেছি তার থেকে অনেক দাম কম। সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায় কিনা পরেছে। কিন্তু দাম বিক্রি হচ্ছে ২শ’ টাকায়। বড় ব্যবসায়ীরা এক জোট হয়ে চামড়ার দাম দিচ্ছে না।’
ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া টাকা না পাওয়াসহ নানা কারণে চামড়ার দরপতনের অজুহাত ব্যবসায়ীদের। এ অবস্থায় সীমান্ত পথে পাচারের আশংকা চামড়া গ্রুপের সভাপতি মো. মোমতাজ হোসেনের।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রে চামড়ার দাম বেশি। আর এবার প্রচুর ব্যবসায়ী চামড়া ক্রয় করেছেন। চামড়া ক্রয় করে ঢাকায় নিয়ে না গেলে পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
জেলায় এবার ৬০ হাজার পিস গরু এবং ৩৫ হাজার পিস ছাগলের চামড়া কেনার টার্গেট নিয়ে প্রায় ৪শ ব্যবসায়ী মাঠে রয়েছেন। যার বাজার মূল্য ৩৫ কোটি টাকা ।