ভারত থেকে আমদানির খবরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুদিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি দরে। পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকার মধ্যে।
সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য ৫শ’ ৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করেছে ভারত। রোব ও সোমবারের মধ্যে বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে ঢুকবে বলে আশা আমদানিকারকদের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দাম কমতে শুরু করেছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা মামুনুর রশিদ জানান, দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বাজারে। সেই তুলনায় বিক্রি নেই। তাঁর মতে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে ক্রেতাদের মধ্যে একটি চিন্তা কাজ করছে, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেই দাম অনেকটা কমে আসবে।
বর্তমানে তাদের পেঁয়াজ বিক্রি করে লস হচ্ছে। তিনি পাইকারি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৪ টাকা কেজি দরে কিনেছেন তিন থেকে চার দিন আগে। এখন তাঁকে ৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এখন তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন পেঁয়াজ আমদানির জন্য। আজ রোববার তারা ব্যাংকে এলসি করবেন। এলসি খোলা সম্পন্ন হলেই আগামী সোম অথবা মঙ্গলবার থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে।
এ ছাড়াও মোবারক হোসেন জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে যে মূল্য নির্ধারণ করেছে তার চেয়ে ভারতে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কম রয়েছে। তারা আশা করছেন, বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করলেও আমদানির পরে পেঁয়াজের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকবে।
হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহীদ জানান, ভারত সরকার যে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতি মেট্রিক টন ৫৫০ মার্কিন ডলার তা ভারতের বাজারের চেয়ে অনেক বেশি। তাঁর মতে, ভারতের পেঁয়াজের আমদানির খবরে দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। আমদানি শুরু হলে আরও কমে আসবে।
বাংলাদেশ যত পেঁয়াজ আমদানি করে, তার সিংহভাগই আসে ভারত থেকে। তবে, ভারত পেঁয়াজ না দিলেই উৎপাদন ও মজুদ যায়ই থাকুক, দেশে বেড়ে যায় মশলা জাতীয় এই পণ্যটির দাম।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম