বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাড. এইচ. এম. মনিরুল ইসলাম মনি ১৭/০৪/২০২৩ইং তার ল’চেম্বারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ,সহ-সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বারেক চৌকিদার,ইউনিয়ন পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী মনিন্দ্র মাঝি সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নির্যাতিত জনসাধারণ।
এইচ. এম. মনিরুল ইসলাম মনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ আমি ও আমার বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে অসত্য ও মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলাম। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলেছেন, ৪০ দিনের কাজ, চাঁদাবাজি, আমার বড় ভাইয়ের দুর্নিতী কথা। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশে কম্পিউটার ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ৪০ দিনের কাজ এন্ট্রি করা তাতে সরকারের টাকা ফাকি দেওয়ার উপয় নেই, আর আমার বড় ভাই চাঁদাবাজী ও দুর্নিতীর সংস্পর্শে নেই বলে তাকে সরকার প্রমোশন দিয়ে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে প্রমোশন দিয়েছেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
তিনি আরও বলেন, এই রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলাম বিগত ১০ বছর গুলিশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন সভাপতি ছিলেন। এই ১০ বছরে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, মাঠ, কালভার্ট, মসজিদের ঘাটলা নির্মাণের টাকা বিভিন্ন প্রকল্পের নামে উঠিয়ে খেয়েছেন। এছাড়া গুলিশাখালী বাজারে খাস জমিতে দোকানঘর তুলে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি চিহ্নিত রাজাকার মৃত মফিজ উদ্দিন শরীফ (রাজাকার গেজেট নং-১৩২) এর পুত্র নুরুল ইসলাম তার মৃত বাবার কৃতিত্বের জন্য আওয়ামী লীগ পদ থেকে বর্তমানে শূন্য কোঠায় আছে। তার একটি লাল গাড়ী আছে যেটিতে তার বাহিনী নিয়ে চলাচল করেন। তার নামে একটি শর্টগান আছে যেটি ওই গাড়ী চলা অবস্থায় গড ফাদারের ন্যয় এলাকায় ঘুরে বেড়ায়।
এ্যাড. এইচ. এম. মনিরুল ইসলাম মনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এই রাজাকার পুত্রের সকল সকল কোষ্ঠিনামা সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গুলিশাখালীকে আধুনিক মডেল ইউনিয়ন গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ডিবিএন/এসডিআর/ মোস্তাফিজ বাপ্পি