বিএনপি-জামায়াতের টানা দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথমদিনে বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাংগাশিয়ায় বাস পোড়ানোর ঘটনায় ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামী করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুড়ে যাওয়া শাকুরা পরিবহনের চালক আবুল হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।পুলিশ বিভিন্ন স্হানে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। ১০ই নভেম্বর গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের৷ টানা দ্বিতীয় দফা অবরোধ চলাকালে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমতলীর আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে মধ্য তারিকাটায় আমতলী-তালতলী সড়কে সাকুরা পরিবহন (ঢাকা মেট্টো-ব- ১১-৮৫৭১) নামক ঢাকাগামী একটি পরিবহনে দুর্বৃত্তরা ভাংচুর করে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে বাসটি সম্পূর্ন পুড়ে যায়।
পরিবহনটি রাত ৯টার সময় তালতলী থেকে ৪জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে আসা মাত্র দুর্বৃত্তরা সড়কের উপরে গাছের গুড়ি ফেলে বাসটির গতিরোধ করে ভাংচুর ও পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনা শুনে আমতলী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীও সহায়তায় বাসের আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও পরিবহনটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ ঘটনায় মামলার পর-পরই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বশির হাওলাদার, মাসুম হাওলাদার, কাওছার হাওলাদার, লোকমান হাওলাদার, মাসুম তালুকদার, আল-আামিন প্যাদা, খবির হাওলাদার, বাবুল হাওলাদার ও আবুল হাওলাদার।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ জানান, গ্রেফতার হওয়া ৯ জনের মধ্যে বশির, খবির ও আল-আমিনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বাস পোড়ানোর মামলায় গ্রেফতার হওয়া ৯ জনকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার এর জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
আজ ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৩:৩৭ | শনিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি