বরগুনার আমতলীতে ছাত্রদেলের বিক্ষোভ মিছিলে পেট্রল বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছাত্রদলের চার নেতা কর্মী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা সড়কের কার্তিক মণ্ডলের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সোয়েব ইসলাম হেলালের অভিযোগ, বিক্ষোভ মিছিল বানচাল করতে ছাত্রলীগ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল মতিন খাঁন বলেন, হয়রানি ও মিথ্যা মামলা করতে পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা ঘটনা ঘটিয়ে দায় চাপাচ্ছেন।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে উপজেলা ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আমতলী সরকারি কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলা সড়কের কার্তিক মণ্ডলের বাড়ির সামনে আসা মাত্রই সড়কের পাশ থেকে ৭-৮ জন মুখোশধারী পেট্রল বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় বলে দাবি করেন ছাত্রদল নেতা সোয়েব ইসলাম হেলাল।
এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ছাত্রদল নেতা কর্মীরা ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এতে ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইমরান খাঁন, আশ্রাফ, ইমন ও বায়েজিদ আহত হন। এদের মধ্যে বায়েজিদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ব্যাগে আটটি পেট্রল বোমা উদ্ধার করেছে।
আহত ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইমরান খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা সড়কের কার্তিক মণ্ডলের বাড়ির সামনে আসি। এমন মুহূর্তে ছাত্রলীগের মুখোশধারী ৭-৮ জন মিছিলে পেট্রল বোমা মেরেছে। পরে আমরা তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মনিরুজ্জমান খাঁন বলেন, ‘আহত একজনকে যথাযথভাবে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে ব্যাগে ভর্তি কয়েকটি পেট্রল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনার এসএসপি (আমতলী-তালতলী) সার্কেল মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বোতলের ভাঙা অংশ দেখতে পেয়েছি। তদন্ত চলছে।
আজ ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:২৯ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি