স্পোর্টস ডেস্কঃ ইতোমধ্যেই প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টিম টাইগার। আজ তাই টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ মিশন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বেলা ১১টায় ম্যাচটি মাঠে গড়ায়।
হোয়াইটওয়াশের মিশনে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলীয় ১১তম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ১১ রানে ফজলহক ফারুকি তাকে সরাসরি বোল্ড করেন। শুরুর এই ধাক্কার পর মূলত লিটনের ব্যাটেই জড়তা কাটিয়ে উঠা বাংলাদেশের। এই সময় তাকে সঙ্গ দেন সাকিবও। কিন্তু সফট ডিসমিসালে ইনিংস লম্বা হয়নি তার। অথচ এক পর্যায়ে লিটনের যোগ্য সঙ্গী-ই হয়ে উঠেছিলেন। ৪৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর ৬১ রান যোগ করে এই জুটি। সাকিব বোল্ড হন ওমারজাইয়ের বলে। তার ৩৬ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিরোধ গড়ার কথা থাকলেও মুশফিক চাপ বাড়িয়ে দেন আরও। রশিদ খানের বলে ২৭তম ওভারে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন। প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি এই সিরিজে অভিষেক করা ইয়াসিরও। রশিদের পরের ওভারেই গুলবাদিনের ক্যাচে পরিণত হয়েছেন। মুশফিক করেছেন ৭ রান আর ইয়াসির মাত্র ১। লিটন ৮৬ রানে নবীকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন গুলবাদিন নাইবের হাতে।
প্রথম ম্যাচ জয়ের নায়ক আফিফ দলীয় ১৬০ রানে নবীর বলে ক্যাচ তুলে ফিরেছেন। করেছেন মাত্র ৫। তার মতো ব্যর্থ ছিলেন মিরাজও। রান আউটে অফস্পিনিং অলরাউন্ডার ফিরেছেন ৬ রানে। রশিদের বলে তাসকিন লেগ বিফোরে ফিরলে পতন হয় অষ্টম উইকেটের। অথচ তখনও একপ্রান্ত আগলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু বাকি দুই ব্যাটার শরিফুল ও মোস্তাফিজুর দ্রুত ফিরে গেলে দুইশোর আগেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। মুস্তাফিজুর রহমানের রান আউট দিয়ে ১৯২ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ ওয়ানডেতে ১৯৩ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ। ফলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে আফগানিস্তানের দরকার ১৯৩ রান।
আজকের ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। সিরিজের তিন ম্যাচেই একই একাদশ নামাল স্বাগতিক দল। অন্যদিকে আফগান একাদশে আছে এক পরিবর্তন। দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশ থেকে ফরিদ আহমেদকে বাদ দিয়ে ফেরানো হয়েছে গুলবাদিন নাইবকে।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি, নজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, গুলবদীন নাইব, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রিয়াজ হাসান।