আচ্ছা কার বুদ্ধিমত্তা কতটা, তা জানবেন কি করে? মানুষের বুদ্ধি মাপতে হলে হিসেব নেয়া হয় তার বুদ্ধ্যঙ্ক (আইকিউ) এর ইন্টেলিজেন্স কোশেন্ট ভিত্তিতে। একথা অবশ্য আমরা অনেকেই জানি। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ ‘আইকিউ ওয়ার্ল্ড টেস্ট’-এ ১৩০-র (যা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তির পক্ষেই পাওয়া সম্ভব) উপরে নম্বর পান।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের অজ্ঞতা বা উদাসীনতার কারণেই ধীরে ধীরে বুদ্ধ্যঙ্ক (আইকিউ)-এর মাত্রা হ্রাস পায়। প্রতিদিন আমরা এমন কিছু কাজ করি যা আমাদের বুদ্ধিমত্তা কমিয়ে দিতে পারে। এমনকি মস্তিষ্কের বুদ্ধির ওপর বাজে প্রভাব ফেলে।
আসুন সেইসব কাজগুলো সম্পর্কে জেনে নিই-
১. সাধারণত যেসব খাবার চিনি দিয়ে তৈরি যেমন; কেক, আর সাদা চিনি, পাস্তা ইত্যাদি ধরনের খাবার আমাদের ব্রেনের ওপর অনেক প্রভাব ফেলে। তাতে স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে থাকে। বুদ্ধিও কমে দ্রুত। চিনি শুধু মেদই বাড়ায় না। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, টানা প্রায় ৬ সপ্তাহ চিনি জাতীয় খাবার খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
২. একই সময়ে একাধিক কাজ করা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় নয়। তাতে বুদ্ধি কমে। বরং একটি নির্দিষ্ট সময়ে যারা একটি কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তাদের চিন্তার ক্ষমতা বেশি থাকে।
৩. অতিরিক্ত মানসিক চাপ আলজেইমার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাতে লোপ পেতে থাকে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক মনে রাখার ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা। ফলে মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে।
৪. শারীরিক স্থূলতাও বুদ্ধি কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ। মাঝ বয়সে যারা মোটা হয়ে যায় তাদের কাজ করার ইচ্ছেশক্তি কমে আসে। বুদ্ধিও লোপ পেতে থাকে। স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হয়ে পড়ে।
৫. আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে ধূমপান। আপনি নিজে হয়তো ধূমপান করেন না। কিন্তু পাশের লোকটি যদি ধূমপান করেন তখন পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাবে বুদ্ধ্যঙ্ক হারাতে হবে আপনাকে। শিশুরা এই পরোক্ষ ধূমপানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বয়স বাড়লেও তাদের বুদ্ধি সেই অনুযায়ী কমই বাড়ে।