এবার মহাকাশ গবেষণায় বড় সাফল্য টেক বিলিয়নেয়ার এলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের। রবিবার সকাল ১০ টা ১ মিনিটে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নোঙর করল তাদের ড্রাগন ক্যাপসুল। স্পেসএক্সের তরফেই ট্যুইট করে এই সাফল্যের কথা জানানো হয়েছে। নাসা টিভিতে তা সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়।
এই প্রথম কোনও বেসরকারি রকেটে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গেলেন নাসার দুই মহাকাশচারী। আর ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই দুই নভোচারী হলেন ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন। হার্লি এবং বেনকেন নতুন একটি ক্যাপসুল ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করলেন। আগামী কয়েক মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন ক্রু ড্রাগন-এর দুই যাত্রী নাসার নভোচারী হার্লি এবং বেনকেন। এই কেন্দ্রে বর্তমানে আরও ৩ জন মহাকাশচারী আছেন। তারা হলেন নাসার মহাকাশচারী ক্রিস ক্যাসিডি, দু’জন রাশিয়ান মহাকাশচারী আনাতোলি ইভানশিন এবং ইভান ভ্যাগনার। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন এই দু’জন।
যদিও ডকিং মিশনের একটি সূক্ষ্ম এবং বিপজ্জনক অংশ ছিল। মহাকাশযানটি মহাকাশ স্টেশনে তাড়া করে ১,১৭,৫০০ মাইল/ঘন্টা প্রতি কক্ষপথে যাত্রা করেছিল, কিন্তু তারপরও ডকিং মিশন সফল হয়।
স্পেসএক্সের এই সাফল্য নাসার জন্য একটি ব্যবসায়িক মডেলের সূচনা করল। এই সাফল্যে আগামীদিনে বাজার আরও প্রসারিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এরোস্পেস জায়ান্ট ‘বোইয়িং’ ও নিজেদের বেসরকারি রকেট কক্ষপথে পাঠানোর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে নাসা-র সঙ্গে।
গত শনিবার ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল-কে (NASA-SpaceX Crew Dragon) নিয়ে ঠিক সময়েই ভূপৃষ্ঠ ত্যাগ করে মহাকাশের দিকে পাড়ি দেয় ফ্যালকন-৯ রকেট (Falcon 9)। ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি মহাকাশ স্টেশনের বিখ্যাত ৩৯-এ প্যাড (Launchpad 39A ) থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে আটলান্টিকের দিকে উড়ে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বয়ং এই উৎক্ষেপণ চাক্ষুষ করতে ফ্লোরিডায় গিয়েছিলেন। আড়াই মিনিট পর মহাকাশ যানটির নিচের অংশ আলাদা হয়ে সাগরে থাকা একটি ড্রোন জাহাজে অবতরণ করে। আর তার মাত্র ছয় মিনিট পর আরোহীরা নিরাপদে কক্ষপথে প্রবেশ করে।