পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ ৮ জনকে।
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমানের আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার দেখানো অন্যরা হলেন হলেন সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক যোগাযোগ ও তথ্য প্রতিবন্ধী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, মোহাম্মদপুরের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলু ও পুলিশ কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমান।
সকাল সাড়ে ৭টার পর তাঁদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সকাল ৯টার পরে তাঁদের আদালতের এজলাস কক্ষে তোলা হয়।
বিভিন্ন থানায় দায়ের করা সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর তদন্ত কর্মকর্তারা পৃথক পৃথকভাবে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। প্রত্যেকের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তাঁদের আবার কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানায় দায়ের করা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল রাজধানীর বাংলামোটরে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা হয়। এ ঘটনায় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তা সামিউল হক বাদী হয়ে গত ২৩ নভেম্বর থানায় একটি মামলা করেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানকে ও পুলিশ কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমানকে বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও মকবুল নামের বিএনপির এক কর্মীকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মাহফুজার রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় মামলাটি করেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা বাসচালক ইনসান আলী হত্যা চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় জুনাইদ আহমেদ পলক, সাদেক খান ও সলিমুল্লাহ সলুকে। মামলার তথ্য থেকে জানা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গাড়িচালক ইনছান আলীকে (২৬) গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ১৩ নভেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ভিকটিম ইনসানের বাবা। মামলায় বলা হয়েছে, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশ নেন ইনছান। তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ আসামিরা মিছিলে গুলি ছোড়েন। এতে ইনছান গুলিবিদ্ধ হন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম