তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের দৃষ্টি নন্দন হযরত সৈয়দ শাহ্ মোস্তফা (র:) পৌর ঈদগাহ মাঠে ময়দানে পবিত্র ঈদঈদুল আজহার ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।
রোববার (১০ জুুলাই) সকাল সাড়ে ৬ টায়,সাড়ে ৭ টায় ও সকাল সাড়ে ৮টায় তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন মৌলভীবাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা মোঃ শামসুল ইসলাম,সানী ইমাম হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন দরগাহ জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা মির্জা শামীম আহমদ। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন সুলতানপুর জামে মসজিদ এর ইমাম মাওলানা মুফতি শামছুজ্জোহা,সানী ইমাম হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন ধরকাপন জামে মসজিদের ইমাম মাওলনা আছাদ আহমদ চৌধুরী, তৃতীয় জামাতে ইমামতি করেন টাউন দেওয়ানী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ আকিল উদ্দিন, সানী ইমাম হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল কাদির।
জামাতে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার রাজনগরের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ,জেলা প্রশাসক মো. মীর নাহিদ আহসান,পৌর মেয়র মো: ফজলুর রহমান, সাংবাদ কর্মী,জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব নেতৃবৃন্দ।
এ ছাড়া জেলার ৭টি উপজেলায় শতাধিক স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে উপজেলা শ্রীমঙ্গলে শাহী ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১০ জুলাই) সকাল পৌনে সাতটায় দিকে শ্রীমঙ্গল নতুন বাজার জামে মসজিদের ইমাম হযরত আল্লাহুম্মা হাফেজ মো.জামান উদ্দিন ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন।
উক্ত ঈদগাহ ময়দানে জামাতের আগে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড.মো.আব্দুস শহীদ এমপি (শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জ) সভাপতি, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন,শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মো.মহসিন মিয়া মধু। এসময় উপস্থিত ছিলেন সর্বস্তরের মুসল্লি।
সংসদ সদস্য ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান ও সবাইকে সালাম জানিয়ে বলেন, আমরা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে এখানে এসেছি, এখানে জামাতে শরিক হয়েছি এজন্য আপনাদের সামনে দাঁড়ানো। তিনি আরো বলেন, ঈদগাহ আমাদের একটা ধর্মীয় আয়োজন ঈদের জামাত আদায় করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেই লক্ষে আপনাদের সাথে মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে। ঈদগাহ কমিটির বর্তমানে আমাদের কাছে সঞ্চয় ৩,২৬,৪৮৬ টাকা। আর যেহেতু কবরস্থান আছে ঈদগাহ কমিটির মাধ্যমে কবরস্থানে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এর পাশাপাশি পৌরসভা কাজ করে থাকে। সেই হিসেবে কবরস্থানে যে টাকা আছে যা আপনারাই দান করেছেন ১,১৪,৮০৮ টাকা। এগুলো সব টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা আছে। তাই আপনাদের কাছে অবগত করলাম, আপনাদের কাছে আবেদন থাকবে ঈদগাহ ময়দানে আপনারা সবাই মুক্তহস্তে এগিয়ে আসবেন। বিভিন্ন জায়গায় দেখাগেছে মুসল্লীদের দ্বারায় ঈদগাহ করা হয়, মসজিদের উন্নয়ন হয়। এই ধর্মীয় প্রতিষ্টান আমরা যারা মুসল্লী আছি আমরা একটু ত্যাগ শিকার করে আরো অনেক সুন্দর করে এর সৌন্দর্য বর্ধন করা সম্ভব।