ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাউতনগর বাজারে আদিবাসিদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও বসতবাড়ি নির্মাণসহ গাছ রোপনের অভিযোগ উঠেছে। ওই জমির মূল মালিক দাবীদার ও অভিযোগকারী তোজাম্মেল আলম জানান, প্রায় দুই মাস ধরে উপজেলার রাউতনগর মধ্যপাড়া গ্রামের কান্তি হেমরমের ছেলে স্যামুয়েল হেমরমও তার স্বজনরা মিলে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ ও গাছ রোপণ করেছে এবং আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভিতি দেখিয়ে জমি দখল করে রেখেছে। আমাদের ১ একর জমি বৃটিশ সিএস রেকোর্ডীয় মালিক আমুক্তার বিনিময়ে দলিলমূলে সমিরউদ্দিন সরকারকে ১৯৫৭ সালে হস্তান্তর করেন।
আলম আরো জানান, পরবর্তীতে সমিরউদ্দিন সরকার ১৯৭২ সালে তাঁর ছেলে মজিরউদ্দিন সরকারকে সাফ কেবলামূলে হস্তান্তর করেন। এরপর এসএ রেকর্ড কতিপয় ব্যাক্তির নামে ভুলবশত হওয়ায় মজিরউদ্দিন সরকার মুন্সিপী আদালতে ১৮/৭৫ নং রেকর্ড সংশোধনী মক্কদমা আনয়ন করেন। এবং ১৯৭৭ সালে এ মামলার ডিগ্রীসহ রায় পান। যার সংশোধিত এস এ খতিয়ান নং ৪৪০। পরবর্তীতে বিএস/আর এস (মাঠপর্চা) ডিগ্রী খতিয়ান মূলে অদ্যবদি ভোগ দখলে আছে। ভুলক্রমে এসএস রেকর্ডীয় মালিক জেঠা সামির ওয়ারিশগণ এ জমি দাবি করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে দখল নেয়ার চেষ্টা করছে। তারা জমিতে ছোট ছোট চালা ঘর নির্মাণ করে ওই সব ঘরে নিজেরাই আগুণ লাগিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে। এই জমির বিরোধ নিরোসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নের্তৃবৃন্দ একাধিকবার এলাকায় এবং থানায় ও ভ্থমি অফিসে বসেছে কিন্তু নৃগোষ্ঠীর লোকেরা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। অন্যদিকে তারা জোর পূর্বক জমি দখল করে রেখেছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এ ব্যাপারে আদিবাসী ও বিবাদী সামুয়েল হ্যামরম বলেন, তাদের বাপ দাদার আমলের রেকর্ডসূত্রে এ জমির মালিকের দাবিদার তারা। কিন্তু বৈধ কাগজ দেখতে চাইলে নানান টালবাহান করে একথা এড়িয়ে যান।
হোসেনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি দুই পক্ষকে ডেকেছিলাম। মজিরউদ্দিন এর ওয়ারিশগণ তাদের কাগজপত্র আমাকে দেখিয়েছে কিন্তু স্যামুয়েল ও তার ওয়ারিশগণ কাগজ দেখাতে পারেনি। এ থেকে ধারনা করা হচ্ছে এ জমির প্রকৃত মালিক মজিরউদ্দিনের ওয়ারিশগণ হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমার জানামতে তারা ১৯৫৭ সাল থেকে অদ্যবদি এজমি ভোগদখল করে আসছে।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান