কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ উপজেলার আশপাশের অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত প্রবাহ। আর উত্তরের হিমেল হাওয়া সেই শীতের তীব্রতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুন। লাগাতার এই শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে নওগাঁর আত্রাইয়ের সর্বস্তরের জনজীবন। এমন দূর্যোগেও উপজেলার মাঠ জুরে চলছে ইরি-বোরো ধান রোপনের কার্যক্রম। প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে কৃষকরা তাদের প্রধান ফসল ইরি-বোরো ধান রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করতে আবার কেউ ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খেটে খাওয়া দিন মজুর শ্রমিকরাও জীবিকা নির্বাহের লক্ষে প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে ধানের মাঠে কাজ করছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে সতের হাজার আট শত আট হেক্টর জমি ইরি বোরো ধান চাষের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই লক্ষ্যমাত্রর চেয়েও বেশি জমিতে ইরি-বোরোধান চাষ হওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ। বোরো চাষে সরকারের পক্ষ থেকে উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের ছয় হাজার কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় উন্নত জাতের ধান বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়ায় ধান রোপনের অনুকুলে থাকায় ও ঘন কুয়াশা র্দীঘ সময় না থাকায় বোরো বীজতলার তেমন ক্ষতি না হওয়ার উপজেলার কৃষকদের চারা সংকটে পড়তে হবে না বলেও জানায় কৃষি বিভাগ।
উপজেলার মনিয়ারী ইউনিয়নের পালশা গ্রামের কৃষক ময়নুদ্দিন বলেন, প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করেও আমরা ইরি-বোরো ধান রোপন করছি।
রোপনে দেরি হলেও ধানের ফলন ভালো হবে। তাই অনেক কষ্ট হলেও ধান রোপনের কাজ করছি। এ ছাড়া কৃষি অফিস থেকে সর্ব সময় সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি। ধানবীজ ও সারও পেয়েছি। এতে করে আমার অনেক উপকার হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কেএম কাওছার হোসেন বলেন এই বৈরী আবহাওয়ায় বোরো বীজতলায় কি ভাবে পরিচর্যা করতে হবে কোন সময় কি ভাবে ধান রোপন করলে ধানের ফলন ভালো হবে ইত্যাদি বিষয়ে আমি সহ মাঠ পযায়ের উপ-সহকারী কৃষিঅফিসাররা সবদাই কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা রাথি বড় ধরনের কোনো দূর্যোগ না এলে আর আবহাওয়া ধান চাষের অনুকুলে থাকলে চলতি বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হবে বলে আমি আশা করছি।