বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ পর্যায়ের চার নেতাকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।মির্জা ফখরুল ছাড়া জামিন আবেদন করা দলটির অন্য তিন নেতা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকীর করা ভয়ভীতি, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম।এ ব্যাপারে বিএনপি নেতাদের পক্ষে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জানান, মিথ্যা ও হয়রানির জন্যই বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।এর আগে গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি, হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলার আবেদন জানান।মামলার অন্য আসামিরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।