প্রাথমিক মেডিকেল রিপোর্ট আটলান্টায় পুলিশের গুলিতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক রাইশার্ড ব্রুকসের মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছে। গেল শুক্রবার রাতে আটলান্টার একটি ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁর কাছে পুলিশের গুলিতে ২৭ বছর বয়সী রাইশার্ড ব্রুকস নিহত হন। খবর-কলকাতা২৪।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা শনিবার রাতে আটলান্টার একটি প্রধান মহাসড়ক বন্ধ করে দেয় এবং ফাস্ট ফুড চেইন ‘ওয়েন্ডি’র ওই রেস্তোরাঁ আগুন লাগিয়ে দেয়।
ওই রেস্তোরাঁ সামনে গাড়ির লাইনে অপেক্ষা করার সময় গাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ব্রুকস। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। অ্যালকোহল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে ব্রুকসকে থানায় নিয়ে যেতে চায় পুলিশ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজনের তোলা ভিডিওতে দেখা যায়, রেস্তোরাঁ সামনের রাস্তায় দুই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন ব্রুকস। এরপর মুক্ত হয়ে পার্কিং লট দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় তার হাতে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া একটি টেইজার গান ছিল বলে মনে হয়েছে।
সিসি ক্যামেরায় ধরা আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, দৌড়ানো অবস্থায় ঘুরে পেছনে ধাওয়া করে আসা দুই পুলিশের মধ্যে একজনের দিকে সম্ভবত টেইজার গান তাক করছেন ব্রুকস। ওই সময় দুই শ্বেতাঙ্গ পুলিশের কোনও একজনের গুলিতে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। এখান থেকে ব্রুকসকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তিনি মারা যান।
নিহত ব্রুকসের আইনজীবী জানিয়েছেন, ব্রুকস এক শিশুকন্যার বাবা ছিলেন এবং শনিবার ছিল শিশুটির জন্মদিন। এর আগে ২৫ মে মিনিয়াপোলিস শহরে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ হাঁটুতে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে ৪৬ বছরের কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়।
তারপর থেকে গত দুই সপ্তাহ ধরে আমেরিকাজুড়ে বর্ণ বিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলতে থাকে। এ পরিস্থিতিতেই আটলান্টায় পুলিশের গুলিতে আরেক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু হওয়ায় আমেরিকা জুড়ে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। এ ঘটনা চলমান ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ বা ‘কৃষ্ণাঙ্গদের জীবন মূল্যবান’ আন্দোলনে আরও ইন্ধন জোগাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুত্রঃ কলকাতা ২৪।