আজ শুক্রবার, ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। করোনা সংকটে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতেই দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। এ কারণে প্রতিবছরই ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপাদ্যে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘প্রকৃতির জন্য সময়’ (Time for Nature)। এর লক্ষ্য কীভাবে পৃথিবীর বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের বিকাশ করা যায়, সেই রূপ কাঠামো গঠন।
এবার পরিবেশ দিবসের মূল আয়োজক দেশ কলম্বিয়া। জার্মানির সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে তারা। গত বছর ছিল চীন। সারা বিশ্বের জীববৈচিত্র্যের ১০ শতাংশই রয়েছে কলম্বিয়াতে। আমাজনের একটি বড় অংশ রয়েছে দেশটিতে। এই আমাজনেই বছরের পর বছর আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার বনভূমিতেও গত বছর বড় রকমের আগুনের সূত্রপাত হয়।
জাতিসংঘ বলছে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ না করাতে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্যই শুধু নষ্ট হচ্ছে না আমরা এর মাধ্যমে আমাদের জীবনকে ধ্বংস করছি। কোভিড আমাদের সেই শিক্ষা দিচ্ছে উল্লেখ করে জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে আমরা জীববৈচিত্র্য রক্ষা করলে শুধু খাদ্যেরই যোগান পাব না বরং ওষুধসহ নির্মল পানি এবং বাতাস পাব। যা মানুষের সুস্থতার বড় অনুষঙ্গ হতে পারে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গুরুত্বের সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারিভাবে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার সেভাবে দিবসটি পালনের মতো কোনো সুযোগই নেই।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সাল থেকে জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) উদ্যোগে প্রতিবছর ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।