আজ ১৫ই মার্চ বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস। বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ১৫ মার্চকে উপজীব্য করে বৈশ্বিকভাবে উদযাপিত দিবস।
বিশিষ্ট পরিবেশবাদী ও ভোক্তাদের অধিকার বিষয়ে আন্দোলনে সোচ্চার কর্মী মালয়েশিয়ার আনোয়ার ফজল কর্তৃক এ দিবস পালনের রূপকার হিসেবে পরিচিতি হয়েছেন। ১৫ মার্চ, ১৯৮৩ তারিখে তিনি ভোক্তা সংগঠনগুলোর মাধ্যমে ভোক্তাদের মৌলিক অধিকার সম্বন্ধে সচেতনতার উদ্দেশ্য বৈশ্বিকভাবে উদযাপনের আহ্বান জানান।
প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তার স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার -সুরক্ষিত ভোক্তা-অধিকার’।জনগণকে অধিকতর সচেতন করার উদ্দেশে এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। ভোক্তা-অধিকার বিষয়ক যে কোনো অভিযোগ জানাতে আগামীকাল একটি ‘ভোক্তা বাতায়ন’ হটলাইন নম্বর উদ্বোধন করা হবে ।
ক্রেতারা বাজার থেকে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করে যাচ্ছে। এতে একদিকে ভালো পণ্য ক্রয় করতে পারছে অন্যদিকে খারাপ পণ্যও পাচ্ছে। আবার অনেক ক্রেতা পণ্য ক্রয় করে নানা প্রকার প্রতারিত হচ্ছেন এবং অনেক বিক্রেতারা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি মূল্যে পণ্য বিক্রি করছেন।
কোনো সাধারণ ব্যক্তি এ ধরণের পরিস্থিতির শিকার হলে যেন মুহূর্তেই সেই বিষয়ে প্রতিকার পান সে জন্য এই হটলাইন চালু করা হচ্ছে। অতিদ্রুত অনলাইনের মাধ্যমে ভোক্তারা এ সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
ভোক্তা-অধিকার বিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রম হিসেবে ঢাকা মহানগরের ৮টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ জারি গান পরিবশন করা হবে। একই সঙ্গে দেশব্যাপী দিবসটি উদযাপন করা হবে।
বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উপলক্ষে নানা আয়োজন করা হলেও করোনাভাইরাসের কারণে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও অনান্য কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। তবে ভোক্তা-অধিকার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন সময় পোস্টার, প্যাম্পলেট, লিফলেট, স্টিকার ও ক্যালেন্ডার বিতরণ করে আসছে এই অধিদপ্তর।