বিরল মহাজাগতিক এক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। রাতের আকাশে দেখা যাবে পিংক মুন বা গোলাপি রঙের চাঁদ। এই চাঁদ দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও। জানা গিয়েছে, এই চাঁদ দেখার জন্য আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান জাদুঘরের ছাদে বসানো হবে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। আর সেখান থেকে গোলাপি চাঁদ (পিংক মুন) দেখা যাবে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সূর্যাস্তের পর থেকে পরবর্তী দুই ঘণ্টা পর্যন্ত (আকাশ মেঘমুক্ত থাকা সাপেক্ষে) এ পিংক মুন দেখা যাবে। মঙ্গলবার বিজ্ঞান জাদুঘর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার রাতে পিংক মুন দেখা যাবে। এ জন্য আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান জাদুঘরের প্রশাসনিক ভবনের ছাদে স্থাপন করা হবে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। এ টেলিস্কোপ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজ্ঞান জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
সাধারণত এপ্রিল মাসে যে পূর্ণিমা হয় তখনই দেখা যায় গোলাপি চাঁদ। এটা স্প্রাউট মুন, এগ মুন, ফিশ মুন, ফাশায় মুন, ফেস্টিভাল মুন, ফুল পিঙ্ক মুন, ব্রেকিং আইস মুন, বডিং মুন, বিগিনিং মুন ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ধূলিকণা এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের শক্তির কারণে অনেক সময় চাঁদের রঙের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যায়। তাছাড়া অন্যান্য ধোঁয়া এবং দূষণও পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে আসা আলো তাদের নিজ নিজ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অনেক প্রকারে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এগুলির মধ্যে নীল রঙকে সবচেয়ে দ্রুত বিক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়। লাল রঙও বহু দূরে যায়। এই কারণে, যখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখা হয় তখন বাদামী, নীল, হালকা নীল, রূপালি, সোনালি, হালাকা গোলাপী, হালকা হলুদ রঙের দেখায়। আর বিভ্রমের কারণে একে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড়ও দেখায়। জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় একে বলা হয় ‘রিলে স্ক্যাটারিং’ বা ‘আলোর বিচ্ছুরণ’।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৫০ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি