স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২৭ নভেম্বর) বুধবার। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. মিলন ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঘাতকদের গুলিতে শহীদ হন।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে শহীদ মিলনের সমাধিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এছাড়াও সেখানে আলোচনা সভা, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।ওইদিন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএর একটি সভায় যোগ দিতে রিকশাযোগে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা পার হওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা তার উপর গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তার মরদেহ দাফন করা হয়। যেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, সেখানটা এখন পরিচিত মিলন চত্বর হিসেবে।এই শোকাবহ ঘটনার স্মরণে পরের বছর থেকে প্রতিবছর শহীদ ডা. মিলন দিবস পালিত হচ্ছে। মিলন হত্যার মধ্য দিয়ে তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়েছিল। এর অল্প কয়েকদিন পরই এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
সুত্র : আর টি ভি