নতুন সরকারের মন্ত্রীসভার শপথ আজ সোমবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনের দরবার হলে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৭ জনের মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলন। এঁদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রী ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন ও তিনজন উপমন্ত্রী হবেন। টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হবেন তিনজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে থাকবে ছয়টি বিভাগ ও মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদসহ বর্তমান মন্ত্রিসভার ৩৬ সদস্যের নাম নেই তালিকায়। এঁদের মধ্যে মন্ত্রী হিসেবে ছিলেন ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ছিলেন নয়জন ও উপমন্ত্রী হিসেবে ছিলেন দুজন।
মন্ত্রী হিসেবে নাম রয়েছে- গাজীপুর-১ আসনের সাংসদ আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়), নোয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়), টাঙ্গাইল-১ আসনের সাংসদ ড. আবদুর রাজ্জাক (কৃষি মন্ত্রণালয়), ঢাকা-১২ আসনের সাংসদ আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), চট্টগ্রাম-৭ আসনের সাংসদ ড. হাছান মাহমুদ (তথ্য মন্ত্রণালয়), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাংসদ আনিসুল হক (আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়), কুমিল্লা-১০ আসনের সাংসদ আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ মন্ত্রণালয়), কুমিল্লা-৯ আসনের সাংসদ মো. তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়), চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ ডা. দীপু মনি (শিক্ষা মন্ত্রণালয়), সিলেট-১ আসনের সাংসদ এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ এম এ মান্নান (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়), নরসিংদী-৪ আসনের সাংসদ নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প মন্ত্রণালয়), নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়), মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়), নওগাঁ-১ আসনের সাংসদ সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য মন্ত্রণালয়), রংপুর-৪ আসনের সাংসদ টিপু মুনশি (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়), লালমনিরহাট-২ আসনের সাংসদ নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়), পিরোজপুর-১ আসনের সাংসদ শ. ম. রেজাউল করিম (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়), মৌলভীবাজার-১ আসনের সাংসদ মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়), বান্দরবানের সাংসদ বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়), চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সাংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি মন্ত্রণালয়), পঞ্চগড়-২ আসনের সাংসদ মো. নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ মন্ত্রণালয়) এবং টেকনোক্র্যাট কোটায় স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ও মোস্তাফা জব্বারের (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়)।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৫ আসনের সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প মন্ত্রণালয়), সিলেট-৪ আসনের সাংসদ ইমরান আহমদ (প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়), গাজীপুর-২ আসনের সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়), ঢাকা-৩ আসনের সাংসদ নসরুল হামিদ বিপু (বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়), নেত্রকোনা-২ আসনের সাংসদ আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়), খুলনা-৩ আসনের সাংসদ মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়), দিনাজপুর-২ আসনের সাংসদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়), কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাংসদ মো. জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়), রাজশাহী-৬ আসনের সাংসদ মো. শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), নাটোর-৩ আসনের সাংসদ জুনাইদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ), মেহেরপুর-১ আসনের সাংসদ ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়), যশোর-৫ আসনের সাংসদ স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়), বরিশাল-৫ আসনের সাংসদ জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়), জামালপুর-৪ আসনের মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়), ময়মনসিংহ-২ আসনের সাংসদ শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়), ময়মনসিংহ-৫ আসনের সাংসদ কে এম খালিদ (সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়), ঢাকা-১৯ আসনের সাংসদ ডা. এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়), হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ মো. মাহবুব আলী (বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়) এবং টেকনোক্র্যাট কোটায় শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়)।
উপমন্ত্রী হিসেবে ডাক পেয়েছেন বাগেরহাট-৩ আসনের সাংসদ হাবিবুন নাহার (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়), শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়) ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের সাংসদ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা মন্ত্রণালয়)।
মন্ত্রিসভায় ঢুকেই পূর্ণ মন্ত্রী হলেন যারা
কুমিল্লা-৯ আসনের সাংসদ মো. তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়), সিলেট-১ আসনের সাংসদ ও গত সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), নরসিংদী-৪ আসনের সাংসদ নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প মন্ত্রণালয়), নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়), নওগাঁ-১ আসনের সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য মন্ত্রণালয়), রংপুর-৪ আসনের সাংসদ টিপু মুনশি (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়), পিরোজপুর-১ আসনের সাংসদ শ ম রেজাউল করিম (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়), পঞ্চগড়-২ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ মন্ত্রণালয়) ও মৌলভীবাজার-১ আসনের সাংসদ মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়)।
মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন যে ৩৬ জন
বাদ পড়া ২৫ মন্ত্রী হলেন- আবুল মাল আবদুল মুহিত (অর্থ মন্ত্রণালয়), আমির হোসেন আমু (শিল্প মন্ত্রণালয়), তোফায়েল আহমেদ (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়), বেগম মতিয়া চৌধুরী (কৃষি মন্ত্রণালয়), মোহাম্মদ নাসিম (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়), খন্দকার মোশাররফ হোসেন (প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়), রাশেদ খান মেনন (সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়), ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়), মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক (বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়), হাসানুল হক ইনু (তথ্য মন্ত্রণালয়), আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়), আনোয়ার হোসেন (পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়), নুরুল ইসলাম নাহিদ (শিক্ষা মন্ত্রণালয়), শাজাহান খান (নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়), মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়), আবুল হাসান মাহমুদ আলী (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), মো. মুজিবুল হক (রেলপথ মন্ত্রণালয়), মোস্তাফিজুর রহমান (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়), আসাদুজ্জামান নূর (সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়), শামসুর রহমান শরীফ (ভূমি মন্ত্রণালয়), মো. কামরুল ইসলাম (খাদ্য মন্ত্রণালয়), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়) ও এ কে এম. শাহজাহান কামাল (বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়) এবং টেকনোক্র্যাটমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি (প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়) ও মতিউর রহমান (ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়)।
বাদ পড়া নয়জন প্রতিমন্ত্রী হলেন- মো. মুজিবুল হক চুন্নু (শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়), মির্জা আজম (বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়), বীরেন শিকদার (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়), বেগম ইসমাত আরা সাদেক (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়), বেগম মেহের আফরোজ (মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়), বেগম তারানা হালিম (তথ্য মন্ত্রণালয়), মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়), মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা (পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ) ও কাজী কেরামত আলী (কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ)।
বাদ পড়া দুজন উপমন্ত্রী হলেন আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়) ও আরিফ খান জয় (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়)।