বাবলু বড়ুয়া
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বৈাদ্ধ ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব প্রবারণা পূর্নিমা আজ। প্রবারণা পূর্ণিমা মূলত, পূজনীয় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অনুষ্ঠান। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অনুষ্ঠান সত্ত্বেও ইহা এখন বৌদ্ধ গৃহীদের শ্রেষ্ঠতম সামাজিক,ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রবারণা শব্দের অর্থ হলো আত্মনিবেদন করা। তাই বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস ব্যাপী বিহারে থাকবেন সেখানে বর্ষাব্রত পালন করবেন, সে বিহারে থেকে জ্ঞান চর্চা করবেন। প্রবারণাকে বৌদ্ধরা চট্টগ্রামে বড় ছাদাং ও বলে থাকে, এর অর্থ হলো বড় উপোস দিবস। উপোস হলো গৃহীদের চব্বিশ ঘণ্টার জন্য অষ্টশীলব্রত পালন করা।
এদিনে সকালে বৌদ্ধ নর-নারীরা বিহারে পরিষ্কার পোষাক। পরিধান করে,বুদ্ধকে পূজা দেয়,ভিক্ষুসংঘকে আহার্য দান করেন, পঞশীল ও অষ্টশীল পালন করেন, বিহারে ধ্যান সমাধি ও ধর্মালোচনা হয়। বৌদ্ধদের ঘরে ঘরে এ দিনে ভালো রান্না-বান্না হয়। অতিথিদের পায়েশ আপ্যায়ন করা হয়। সন্ধ্যায় প্রধান আকর্ষন হলো প্রত্যেক বিহারে বিহারে আকাশ প্রদীপ অর্থাৎ ফানুস উত্তলোন করা হয়। ফানুস উত্তলোনের উদ্দেশ্য হলো আকাশে ভাসমান গৌতম বুদ্ধের পবিত্র কেশ ধাতুকে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে বন্দনা বা প্রার্থণা করা। “সব্বেসত্বা সুখিতাহন্তো- জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক”!