বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।
আজ রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার পিলখানার স্মৃতিস্তম্ভ ‘সীমান্ত গৌরব’ এ তিনি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনার বিষয়ে বিজিবির মহাপরিচালকের জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো (সীমান্ত হত্যা) আমরা সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি। ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে এবং আমাদের ডিজি পর্যায়ের আলোচনায়ও এই বিষয় উঠে আসে।’
তিনি বলেন, ‘এখন কূটনৈতিকভাবে এবং আমরা, আমাদের দিক থেকে, আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি যেন সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে পারি। এজন্য সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি যেন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম না করেন।’সীমান্তের জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সীমান্তবর্তী জনগণকে শিক্ষা-দীক্ষায় এবং অর্থনৈতিকভাবে যদি স্বাবলম্বী করতে পারি, তাহলেই মনে করি সীমান্ত হত্যা কমে যাবে।’
এর আগে সকাল ৯টায় পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজিবি দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
পরে সকাল ১০টায় সেখানে বসেছে মহাপরিচালকের বিশেষ দরবার। করোনাভাইরাস মহামারীতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় এবার এই বিশেষ দরবার হচ্ছে ভার্চুয়ালি।দেশের সব প্রান্ত থেকে বিজিবি সদস্যরা ভার্চুয়ালি এ দরবারে যুক্ত হয়েছেন।
দরবার শেষে অনারারি সুবেদার মেজর থেকে অনারারি সহকারী পরিচালক এবং অনারারি সহকারী পরিচালক থেকে অনারারি উপপরিচালক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হবে।
এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ রিক্রুট প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণে অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জনকারী জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দলগত ও ব্যক্তিগত পুরস্কার, অপারেশনাল কার্যক্রম, চোরাচালান রোধ এবং মাদকদ্রব্য আটকের ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ ব্যাটালিয়ন ও রানারআপ ব্যাটালিয়ন এবং শ্রেষ্ঠ কোম্পানি ও বিওপি কমান্ডারদের পুরস্কার দেয়া হবে।
এ সময় মহাপরিচালকের অপারেশনাল ও প্রশাসনিক ইনসিগনিয়াসহ প্রশংসাপত্রও দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিজিবি দিবস উপলক্ষে পিলখানাসহ সব ইউনিটে কেক কাটার পাশাপাশি প্রীতিভোজের আয়োজন থাকছে। মাগরিবের নামাজের পর পিলখানার সব মসজিদে সীমিত আকারে মিলাদ ও বিশেষ দোয়া হবে।